ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে আহাম্মদপুর ইউনিয়নের চৌকিদার খাল বাজার থেকে নাস্তা খেয়ে ফেরার পথে হামলার শিকার হন সরোয়ারের ছেলে মনির (২৫), ইউসুফ (২৭), রাকিব (২৪), হোসনেয়ারা (৪৭), রুমা (২৬) ও আরও একজন।
অভিযোগ রয়েছে, একই এলাকার মো. হাসান আলীর ছেলে মো. বিলাল (২৫), মো. কালু (৩৫), মো. ইব্রাহীম (৩০), মো. আবু কালাম (৩৭), রিয়াজ (২৩) এবং আরও কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
আহতদের স্বজনরা জানান, সাত মাস আগে প্রতিপক্ষের মো. বিলাল তাদের কাছ থেকে ১৫,০০০ টাকা ঋণ নেন। পাওনা টাকা চাইতে গেলে কয়েকদিন আগেও একবার তাদের ওপর হামলা করা হয়। সেই ঘটনায় আহতরা চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন। স্থানীয় নেতারা বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলেও প্রতিপক্ষ তা উপেক্ষা করে পুনরায় হামলা চালায়।
হামলায় গুরুতর আহত চারজনকে প্রথমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এ বিষয়ে আহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন জানান, “ঘটনাটি নিয়ে আমার কাছে আসা হয়েছিল এবং মীমাংসার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু তার আগেই প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এরপরও যদি কেউ ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করে, তাহলে আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।”
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, ফলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “সাধারণ একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এমন সহিংসতা খুবই দুঃখজনক। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”
