June 26, 2025, 2:51 am
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়ায় বাধবাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ নোটিশের প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ ঠাকুরগাঁওয়ে কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস ব্যাবসায়ীদের মানববন্ধন যশোরে ছেলের ধাওয়ায় বৃদ্ধ পিতা স্টোকে মৃত্যু মোল্লাহাট কে আর কলেজের নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দীপু’র সংবর্ধনা কানসাটে ১১ কেজি গাঁজাসহ স্ত্রী আটক,স্বামী পলাতক দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নে দীঘিনালা সেনা জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প আগামি ২৪ ঘণ্টায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা, ডুবতে পারে দেশের ১০টি জেলা যশোর জজ কোর্টের পুলিশের কাছ থেকে পালিয়েছে হত্যা মামলার আসামি খাগড়াছড়িতে দীঘিনালার আলোচিত ১নং মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার মোহাম্মদপুরে সিটিটিসির অভিযানে চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ী রবিন গ্রেফতার
নোটিশঃ
আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। নিউজ শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দুর্নীতিতে পৌষে উটেছে মৌলভীবাজার

মোস্তাক চৌধুরীঃ
June 26, 2025, 2:51 am

 

মোস্তাক চৌধুরীঃ

মৌলভীবাজার জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীট হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আজ হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। এ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহন করে অনেক ছাত্রী আজ ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষকসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্থা হিসাবে চাকরীরত আছে । অনেকে লন্ডন আমেরিকায় নানা পেশায় প্রতিষ্টিত। কেউ কেউ লন্ডন আমেরিকায় উঁচু পদে চাকরী করছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদ বেগমের নানা অনিয়ম অবিচার দুর্নীতি সেচ্ছাচারীতা ক্ষমতার অপব্যবহার শিক্ষকদের সাথে বৈষম্য, অর্থ আত্মসাৎ সজনপ্রীতি একগুয়েমি অনিয়ম স্কুলের এফডিআর এর টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা তসরুপ। নিজের ইচ্ছে মতো খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকা অনলাইনে না নিয়ে হাতে নেওয়া রশিদ না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষিকার বিরোদ্ধে। প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়কে নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করে বলে অভিগ্ন মহলের ধারনা।

খবর নিয়ে জানা গেছে ২০১৫ সালে তথকালীন ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার সহযোগিতায় তিনি নিয়োগ পান। তার নিয়োগের বৈধতা নিয়েও নানা কথা রয়েছে। এ নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে তিনি বেপরোয়া হয়ে উটেছিলেন। কাউকে তোয়াক্কা না করে তিনি নিজের মতো করে স্কুলটিকে পরিচালনা করে আসছেন । স্কুল বা ম্যানিজিং কমিটির সাথে পরামর্শ করা দুরের কথা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে তার মতো করে সে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। গেল তিন বৎসর যাবত তিনি কাউকে কোন হিসাব দেননি বা স্কুলেও কোন হিসাব নেই।

জানাগেছে বিদ্যালয়ের ব্যবস্হাপনা কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইটিসি মেনহাজ ফেরদৌস গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে এসে আর্থিক অব্যবস্হাপনা ও অনিয়মের মারাত্মক ঘাপলা পান। তিনি নিয়মের কোন তোয়াক্কা না পেয়ে স্কুলের সার্বিক হিসাব ও হিসাবের কাগজপত্র টিক করার জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে এক মাসের সময় বেধে দেন। কিন্তুু প্রধান শিক্ষিকা এসব তোয়াক্কা করেননি। এক মাস চলে যাওয়ার পর জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে প্রধান করে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী অডিটের তারিখ দেন কিন্তুু প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগম ঐ দিন অডিট টিমকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেননি। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে শোকজ করেন। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগম আদালতে তাদের বিরোদ্ধে মামলা দায়ের করেন। প্রধান শিক্ষিকার নানা গটনা মামলা হামলা বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বেস্তে যেতে বসেছে। যার ফলে বিদ্যালয়ে হাজারো ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম স্হবির হয়ে পড়েছে।

৮ এপ্রিল থেকে বিদ্যালয়ের পাটদান কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও এখনও পাটদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা বার্যক্রম বেস্তে যেতে বসেছে। প্রধান শিক্ষিকার এ হেনা নানা অনিয়ম অবিচার দুর্নীতির বিরুদ্ধে পৌষে উটেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা অভিভাবক ও সাধারণ ছাত্রীরা। শিক্ষক শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষিকার নানা অনিয়ম বিদ্যালয়ের টাকা আত্বসাৎসহ নানা অনিয়মের কারনে শিক্ষিকাকে অপসারণ দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন গেল সপ্তাহে। ছাত্রী শিক্ষকদ্বারা মানববন্ধন ও ছাত্রীরা স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা প্রশাসক বরাবরে।

এ নিয়ে মুক্ত খবরের পক্ষ থেকে তদন্ত করে দেখা গেছে প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগম এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের পানদানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে চেয়ে বিদ্যালয়কে লোটপাট অর্থআত্বসাতে মন দিয়েছেন বেশি। মুক্তখবরের কাছে একাধিক তদন্তরিপোট অডিট রিপোট অভিভাবক কমিটির রিপোটসহ নানা নথিপত্র রয়েছে যা প্রধান শিক্ষিকার এহেন দুনীতি নেই যা তিনি করেননি। রশিদ ছাড়া বেতন ভর্তি ফি আদায়, ভূয়া বিল বাউসার, সাদা কাগজে টাকা উত্তোলন, রেজুলেশন ক্যাশবুকে গরমিল, খন্ডকালীন শিক্ষকের নামে আত্বিয়করন। শিক্ষার্থীদের নিয়ম বহিভূত মারধর, শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। তাদের বেতনদানে নানা বৈষম্য, শিক্ষকদের সাক্ষর জ্বালসহ বিস্তর অভিযোগের নথিপত্র রয়েছে আমাদের কাছে। তার বিরোদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই।

বিদ্যালয়ের প্রতিমাসে ছাত্রীদের কাছ থেকে যে বেতন ভাতা দেওয়া হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের সেই নথিপত্র যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে সেখানেও মারাত্বক বৈষম্য করা হয়েছে। সেখানে প্রধান শিক্ষিকা বেতন নিয়েছেন ১৩,৬০০/ টাকা সহকারী শিক্ষকদের দেওয়া হয়েছে কাউকে দেওয়া হয়েছে ২২০০/ টাকা কাউকে ১৬০০/ আবার কাউকে ৪৬৫/ কাউকে ৪১২/ এরকম অনেক অনিয়ম অবিচার বৈষম্য করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। ছাত্রীদের বেতন থেকে তাঁর মজ্জিমতো বেতন ভাতা দিয়ে গেছেন প্রধান শিক্ষিকা।তিনি প্রধান শিক্ষিকার নামে জাল জালিয়াত এক মহিলা।

২০১৫ সালের ১ নবেম্বর নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে রাশেদা বেগম যোগদান করেন। তার নিয়োগ নিয়ে এখনও নানা কথা রয়েছে। তিনি যোগদাকালীন ৩২ লাখ টাকার এফডিআর ছিল ১০ বছরে ছাত্রীদের বেতন ভর্তি ফি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তুু এফডিআর ফান্ডের হিসাবের কোন বালাই নেই। ফান্ডের সম্পুর্ণ টাকা আত্মসাৎ করে পেলেছেন। এ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও জেলা শিক্ষা অফিসার ২০১৭ সালে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করে উক্ত তদন্তে ৬৮ লাখ ৫ হাজার ২৬৯ টাকার দুর্নীতি ও লোটপাট বেড়িয়ে আসে। কিন্তুু প্রশাসনসহ কারো কিছু করার ছিল না। তথকালীন সরকারী দলের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি সবকিছু উল্টপাল্ট করিয়ে দেন।

৫ আগষ্টের পর বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষিকার আবেদনের পেক্ষিতে বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেহনাজ ফেরদৌস। পরিদর্শনকালে শিক্ষক শিক্ষিকা রেজিষ্টার পরীক্ষার ফলাফল রেজিষ্টার, বাজেট রেজিস্ট্রার ষ্টাপরেজিষ্ট্রার গাডপাইল ও অভিভাবক সভা রেজিষ্ট্রার কোন কিছুই পাননি। বিদ্যালয়ের অন্যনো খাতাপত্র হিসাব কোন কিছুরই বালাই নেই। তারপর ১০ ফ্রেব্রুয়ারী তিনি জেলা সমভায় কর্মকর্তাকে আহবায়ক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গটন করেন ১৯ ফেব্রুয়ারী তদন্ত কমিটি তদন্ত করতে গেলে প্রধান শিক্ষিকা তাদের কোন সহযোগিতা করেননি বলে সভাপতিকে জানান তদন্ত কমিটির আহবায়ক। এ ব্যায়াপারে ২৩ ফেব্রুয়ারী সভাপতি প্রধান শিক্ষিকাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেন। প্রধান শিক্ষিকা নোটিশের জবাব না দিয়ে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, তদন্ত কমিটির আহবায়কসহ ৭ জনকে আসামি করে মৌলভীবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করেন তিনি আশংকা করছে বিবাদীরা তাকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করতে পারে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন বিদ্যালয়ের ৩২ লক্ষ টাকা ছিল এখন বিদ্যালয়ের ফান্ডে কোন টাকা নেই। নামে বেনামে বাউছার করে প্রধান শিক্ষিকা সম্পুর্ন টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগম বলেন সভাপতি স্কুলে এসে খাতাপত্র দেখতে চেয়েছেন তখন তা সম্পন্ন ছিল না কিছুটা এলোমেলো ছিল। পরবর্তীতে শিক্ষকদের নিয়ে খাতাপত্র টিক করেছি। তিনি বলেন অফিস সহকারী সহানুভূতি দেখিয়ে বেতন বিলে সাক্ষর দেখিয়ে আমাকে অপমানিত করেছেন কিন্তুু টাকা অফিস সহকারী কিংবা আমি নেইনি। ২০১৬ /২০১৭ অর্থ বছরের রিপোর্টের বিষয়ে তিনি বলেন মাহমুদ কন্টেকটারের দোকানে বসে রিপোট বানিয়েছেন। জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিনিধি মুজিবুর রহমানের সাক্ষর জোর করে নেওয়া হয়েছে। একটি চক্র আমাকে স্কুল থেকে বের করার জন্য পুর্বেও চক্রান্ত করেছিল এখনও করছে । কিন্তুু স্কুলের সভাপতি ও তদন্ত কমিটি ভিন্ন কথা বলছেন । প্রধান শিক্ষিকার বিরোদ্ধে বিভিন্ন তদন্ত রিপোট স্কুলের নথিপত্রে তার বিরোদ্ধে দুনীতি লোটপাটে মহোৎসব রয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফেরদৌস বলেন স্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর স্কুলে গিয়ে দেখি স্কুলের খুবই দুঅবস্তা স্কুলের আয় ব্যয় এর কোন ফিরিস্তি নেই, রেজিষ্টার নথিপত্র নেই। এতো ভাল জেলা শহরের নামী দামি একটি স্কুল অথচ স্কুলের ইদানীংকার রেজাল্ট খুবই খারাপ। স্কুলের কোন হিসাব কিতাব নেই বললেই চলে। প্রধান শিক্ষিকা কাউকে কিছু না বলে নিজের মর্জি মতো স্কুল পরিচালনা করছেন। এগুলো সংশোধন করতে প্রধান শিক্ষিকাকে বলি তিনি আমার কথায় কোন কর্ণপাত করেননি। বিদ্যালয়ে আর্থিক সচ্ছলতা আয় ব্যয়ের হিসাব বিদ্যালয়কে এ রুগ্নদর্শা থেকে উত্তরন করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। তিনি কমিটিকে কোন সহযোগিতা করেননি। তিনি নিজের অনিয়ম দুর্নীতি অর্থ আত্মসাৎ থেকে নিজেকে বাছাতেন তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করে জেলা প্রশাসক আমি ও তদন্ত কমিটির সদস্যসহ ৭ জনের বিরোদ্ধে আদালতে মামলা টুকে দিয়েছেন।

এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন বলেন বিযয়টি আইনগতভাবে সবোচ্ছ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সাথে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে দেওয়া ছাত্রীদের স্মারকলিপি ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাটানোর নিদেশ দেওয়া হইয়াছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাগন প্রধান শিক্ষিকার এহেন কর্মকান্ডের বিরোদ্ধে তাঁর অপসারণের দাবীতে আজ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট স্মারকলিপি প্রধান করেছে বলে জানাগেছে। এহেন কর্মকান্ডে বিদ্যালয়ের লেখাপড়া একেবারে লাটে উটে বসেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সচেতন মৌলভীবাজারবাসী দ্রুত স্কুলের দুরবস্থার পরিবর্তনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এরকম আরো নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর