মৌলভীবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমকে দুর্নীতি অর্থ আত্বসাৎ এর দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও স্বস্তিতে নেই বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা অভিভাবক ছাত্রীরাসহ ভুক্তভোগীরা। প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় জনস্বার্থে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে, “নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪”-এর বিধি ৫৩(১) উপবিধি অনুসারে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
রাশেদা বেগমের দুর্নীতি বিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা আত্বসাৎসাতের বিরোদ্ধে ফূঁসে উটে মৌলভীবাজারের প্রাচীন বিদ্যাপীটের অভিভাবক ছাত্রী ও শিক্ষকগণ। ছাত্রীরা প্রেসক্লাব মোড় মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রধান করে। তারপর শিক্ষক শিক্ষিকা অভিভাবকরা নানা কর্মসূচী পালন করে। মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবর, জাতীয় দৈনিক সমকাল যুগান্তরসহ বেশ কিছু অনলাইন ও পিন্টমিডিয়া পত্রিকায় ধারাবাহিক হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের দুনীতি,লোটপাট, সজনপ্রীতি, ফভিডেন্ট ফান্ডের ৬৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর বিরোদ্ধে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পরও তাঁকে অপসারণ করা হয়নি। তার ক্ষমতার দাপট কাটিয়ে সে বহাল তবিয়তে ছিল।
অবশেষে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তুু স্বস্তিতে নেই ভুক্তভোগীরা মৌলভীবাজার জেলার সচেতন নাগরিক সমাজ, বিদ্যালয়ের অভিভাবক ছাত্রীগণ শিক্ষক শিক্ষিকা তাকে বরখাস্ত করার জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করছেন। তাদের কথা ফাঁক ফুকোর ভেদ করে কখন জানি সে আবার সাপের মতো ছুবল মারে। তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ, যার মধ্যে রয়েছে অনিয়ম, অর্থনৈতিক দুর্নীতি, কর্তব্যে গাফিলতি, এবং প্রশাসনের সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ। এসব কারণেই প্রশাসন তাকে সাময়িকভাবে দায়িত্বচ্যুত করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।
প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের অনুপস্থিতিতে, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমানকে অস্থায়ীভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রীগন তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বরন করে নেয়।
উল্লেখ্য, এ সংক্রান্ত বরখাস্তের আদেশটি ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহনাজ ফেরদৌস স্বাক্ষর করে জারি করেন।