কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের পতনের ৬ মাস পরেও বেপরোয়া শহর আওয়ামী লীগের আলতাফ।

মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছত্রে আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতনের ৬ মাস পরেও দুর্দান্ত প্রতাবে,আতা হানিফের মামা খ্যাত আলতাফ মালিথা এখনো বেপরোয়া ভাবে মিথ্যা মামলায় নিরীহ মানুষ কে হয়রানি জমি দখল সরকারি জমি দখল সহ নানান রকম অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে, অনুসন্ধানে জানা যায় গত৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এর সুযোগ নিয়ে কুষ্টিয়া জেলার মজমপুর গেটে বাজার দখল করে নিলেন শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আলতাফ মালিথা( পিতা -মৃত আবুল হোসেন মালিথা)। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় গত ৫ আগষ্টের পরে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে কুষ্টিয়া জেলার জিরো পয়েন্ট হিসাবে পরিচিত মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া রাজশাহী মহাসড়কের পাশে টি,এন্ড, টি প্রাচির সংলগ্ন আনুমানিক ৬ ফিট্ বাঈ ২০০ ফিট জাগায় অবস্থিত কুষ্টিয়া পৌরসভার ইজারাকৃত নৈশ বাজার দখল করে নিয়েছে কথিত ভুঁইফোড় আওয়ামী লীগ নেতা শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, দখল বাজ আতাউর রহমান আতার সকল অপকর্মের সহযোগী ও পরামর্শ দাতা ভূমি দস্যু আলতাফ মালিথা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় ৯০ এর দশকের শেষ দিকে তৎকালীন ভূমি ব্যাবস্থাপনায় নিয়োজিত সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে জমি দখলের মহা উৎসব শুরু হলে কুষ্টিয়া শহরের পশ্চিম মজমপুর নিবাসী মোঃ আলতাফ মালিথাও,মজমপুর গেটে ১৫ বাঈ ৪০০ফিট জায়গা তৎকালীন কুষ্টিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান আফু চেয়ারম্যান কে ম্যানেজ করে দখলে নেই এবং আধাপাকা দোকান নির্মান করে পজিশন বিক্রি ও ভাড়ার মাধ্যমে ভোগ করতে থাকে, তত্তবধায়ক সরকারের সময় সরকারি জায়গায় দখল করে নির্মিত সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করার সময় তার ঐ দোকানও উচ্ছেদ করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে আলতাফ মালিথা মজমপুর গেটে আবারও দখলদারির আশায় আওয়ামী লীগের দালালী করা শুরু করে এবং ২০১২ সালে শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এম পির সকল অপকর্মের হোতা কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা এর সুপারিশে এবং আতাউর রহমান আতা এর সকল অপকর্মের পরামর্শ দাতা ও সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে আওয়ামী লীগের পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত,আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে ঐ জায়গা দখল করার চেষ্টা করে কয়েক বার বিফল হলে তিনি মাহবুব উল আলম হানিফ এম পি এর সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে, হানিফ তাকে জানান রাস্তা বড়সড় করতে ঐ জায়গা লাগবে তা-ই ওসব কথা ভুলে জান,বিনিময়ে আমি আতা কে বলে দেবো আপনার জন্য সুযোগ সুবিধা বরাদ্দ দিতে, আলতাফ মালিথা আতাউর রহমান আতার সহযোগী হিসেবে সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে থাকে, রাস্তা ফোর লেনে উন্নিত হয়ে রাস্তার পাশে খুব অল্প জাগা আছে যেখানে কিছু গরীব মানুষ সন্ধ্যার পরে সবজি বিক্রি করে জীবন নির্বাহ করেন, বাজার টা কুষ্টিয়া পৌরসভার ইজারাকৃত,এবং ইজারাদার এর লোক প্রতিদিন রাতে খাজনা আদায় করে কিন্তু গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকার পতন হলে গত ১৫ আগষ্ট ইজারাদার এর লোক খাজনা তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন এবং জানতে পারে আলতাফ মালিথা বাজার নিজের দখলে নিয়েছেন। পরবর্তীতে ইজারাদার আবারও ১৮ আগষ্ট খাজনা আদায় করতে গেলে আলতাফ মালিথা ১০/১৫ সন্ত্রাসী সাথে করে ইজারাদারের উপর হামলা করে এসময় তিনি ইজারাদার কে উদ্দেশ্য করে বলে এইটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি এখানে আসলে প্রানে মেরে ফেলতে দেরি হবে না কথাটা সকল কে মনে রাখতে হবে। পহএদিকে ঘটনা নিয়ে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে, মানুষের মুখে মুখে প্রশ্ন শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বহু অপকর্মের পাণ্ডা আতার বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত আলতাফ মালিথা এখনো সরকারি জায়গা দখল করার শক্তি কোথায় পাই? এদের বিরুদ্ধে এখনই তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন না করা হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে