সারাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে শিক্ষকদের যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে সমন্বয় রেখে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার এম এ মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন শরিক হয়েছেন। এদিকে একই দাবীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনে শামিল হয়েছে। বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ‘শিক্ষা জাতীয়করণ মহাজোট’ নামক সংগঠনের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা। এর আগে সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময়ে থানা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এবং সরকারকে তাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি জানিয়ে ছিল। ১ম-১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষকদের নিয়োগ না দিয়ে এবং তাদের সময়কার নিয়োগের বয়সের সময়সীমা না থাকলেও পরবর্তিতে ৩৫ বছরের পরে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী পেশায় নিয়োগ হবে না বলে সরকার নীতিমালা জারি করে। ফলে ১ম-১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষকদের বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করায় তারা আর নিয়োগ পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের টানা আন্দোলনের মুখে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দিয়েছে সরকার। জাতীয়করণের দাবিতে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে নতুন দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষক সমাবেশ এবং বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির কথা বলা হয়েছে। গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী এ ঘোষণা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে বলে জানা যায়। শিক্ষকরা জানান, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। মূলত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সমন্বয় রেখেই আজ দিঘলিয়া এম এ মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ।