মেহেদী হাসান হৃদয়,,
আসন্ন জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ও স্বীকৃতি ছাড়া তা মানবে না গণ অধিকার পরিষদ। আজ রোববার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ। উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
রাশেদ খান লিখিত বক্তব্যে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের তোড়জোড় চলছে। কিন্তু বিপ্লবের মূল অংশীজনদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করে এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ইতিহাসের বিকৃতি ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, “জুলাই কারও একার নয়, এটি জাতির সকল মানুষের, সকল অংশগ্রহণকারীর। যদি কোনো নির্দিষ্ট দলকে খুশি করতে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হয়, তবে তা হবে একাত্তরের মতো ২০২৪ সালের ইতিহাসকেও একপক্ষীয় করে তোলার অপচেষ্টা। এটি হবে জুলাই চেতনার পরিপন্থী।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৪-১৫ বছর ধরে চলা ধারাবাহিক আন্দোলনের ফসল এই ৩৬ দিনের গণ–অভ্যুত্থান। কেবলমাত্র ৩৬ দিনকে সীমাবদ্ধ করে পুরো আন্দোলনের ইতিহাসকে ছোট করে দেখা যাবে না। কোটা সংস্কার আন্দোলন (২০১৮), নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনসহ বহু তরুণ প্রজন্মনির্ভর আন্দোলনের প্রতি যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।
গণ অধিকার পরিষদের দাবি, এই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর আপসহীন ভূমিকা এবং তরুণ প্রজন্মের অবদানকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে তাঁরা এই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিল্লু খান, সহদপ্তর সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ সাগর এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান।
আলোচনা ও স্বীকৃতি ছাড়া জুলাই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান করবে গণ অধিকার পরিষদ
১৪-১৫ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের ভূমিকা ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে
জুলাই কারও একার নয়, সকল অংশগ্রহণকারীর সম্মিলিত প্রয়াসের প্রতীক
৩৬ দিনের আন্দোলন নয়, দীর্ঘ লড়াইয়ের চূড়ান্ত রূপ হলো এই গণ–অভ্যুত্থান