শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়ার মিনি কক্সবাজার খ্যাত পদ্মা-গড়াই মোহনা “বৃটেনের কার্ডিফে দারুল ক্বিরাত তথা ইনটেনসিভ তাজবীদ কোর্স ২০২৫ এর শুভ  উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে কুষ্টিয়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জুলাই শহীদ স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে স্কাউটস এর পুরস্কার বিতরণী রাজনগরে সন্ত্রাসী কতৃক প্রবাসী কয়ছর হত্যাকান্ডের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছে তার পরিবার হাফিজা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাময়িক দায়িত্বচ্যুত হলেও তটস্থ ভুক্তভোগীরা জিকে খালে অজ্ঞাত ব্যক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার  কেশবপুরের পনিবন্ধি ২”হাজার পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন কুষ্টিয়ায় আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা মৌলভীবাজার মোখলেছুর রহমান ডিগ্রী কলেজের বাসের যন্ত্রপাতি চুরি হওয়া আসামিদের জামিন না মঞ্জুর 
নোটিশঃ
আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। নিউজ শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

“বুলেটের জবাবে স্বপ্ন: ২৪-এর পথে এক নতুন বাংলাদেশ”

রিপোর্টারের নামঃ
August 3, 2025, 3:16 pm

 

এটা কেবল একটি ছাত্র আন্দোলন ছিল না-এটা ছিল এক জাতির বিবেকের জাগরণ। এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে, কিন্তু তা রূপ নিয়েছিল এক পূর্ণাঙ্গ গণঅভ্যুত্থানে-এক অন্যায়ের বিরুদ্ধে হাজার কণ্ঠের দ্রোহে।

যারা বলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু চাকরি আর বিলাসে মগ্ন, তারা দেখেছে এই প্রজন্ম কতটা নিঃস্বার্থ, কতটা সংগ্রামী। তাদের আসার পেছনে ছিল না কোনো লাভ, ছিল না কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা-ছিল শুধু ন্যায়ের জন্য আত্মত্যাগের মানসিকতা। তাদের হাতে ছিল না ক্ষমতার দাবি, ছিল রক্তের উত্তরাধিকার। তারা এসেছিল, নৈতিকতার পক্ষে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে।

তাদের এই আগমন ছিল নিঃস্বার্থ, নির্ভীক। তাদের আন্দোলনে ছিল না কোনো দলের পতাকা, ছিল না কোনো গোপন এজেন্ডা-ছিল কেবল দেশপ্রেমের তীব্রতম প্রকাশ।

তবুও এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।

কিন্তু সেদিনের আমার ছাত্রের রক্ত কি সত্যিই সার্থক হয়েছে?

জাতি কি সঠিক পথে আছে?

‘নতুন বাংলাদেশ’-যার স্বপ্নে তারা বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল-তা কি আদৌ বাস্তবায়নের পথে?

নাকি আবারও পথ হারাচ্ছে বাংলাদেশ?

সেদিন আমি দেখেছি-একজন বাবা, যিনি তার ছেলেকে আন্দোলনে হারিয়েছিলেন, তিনি রাস্তার পাশে সেজদা দিয়ে কাঁদছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আজ আমি খুশি, আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।”কিন্তু আমি বারবার ভাবি-আত্মা কি সত্যিই শান্তি পাবে, যতদিন না বিচার হবে? যতদিন না সংস্কার হবে? যতদিন না সত্যিকার ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ে উঠবে?

আমার শিক্ষার্থীদের অনেকেই জানতো না তারা আদৌ কোনো সরাসরি লাভ পাবে কি না-তবুও তারা প্রতিবাদ করেছিল। তারা এসেছিল শুধু সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে।

৫৮ তাদের রক্ত ছিল শর্তহীন।

৫ তাদের আন্দোলন ছিল নিঃস্বার্থ।

৫ তাদের চেতনা ছিল মহৎ।

এটাই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য- এখানে ছিল না কোনো দলীয় লোগো, ছিল না কোনো ব্যানার, শুধু ছিল ছাত্রসমাজের বুকভরা আস্থা আর মায়ের মাটির প্রতি প্রেম। এটা ছিল এক নতুন বাংলাদেশের জন্মকথা।

আমরা যারা শিক্ষক, আমরা এই আন্দোলনের শুধু সাক্ষী নই-আমরা এর গর্বিত সহযাত্রী। আমি বিশ্বাস করি-এই প্রজন্ম থেমে যাবে না। স্বপ্নের বাংলাদেশ একদিন বাস্তবে রূপ নেবে। আর সেই ইতিহাসে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নাম লেখা থাকবে প্রথম সারিতে-গর্ব আর সম্মানের সঙ্গে।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

জয় হোক সত্যের, জয় হোক সাহসের, জয় হোক স্বপ্নের বাংলাদেশের।

রোমানা রহমান

সিনিয়র লেকচারার

ডিপার্টমেন্ট অব ইনফরমেশন স্টাডিজ

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এরকম আরো নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর