যশোরের কেশবপুরের হরিহর , অপার ভদ্রা ও বুড়ি ভদ্রা নদীর খনন কাজ পরিদর্শন করলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিন নদীর সংযোগস্থলে যান ও খনন কাজের অগ্রগতির খোঁজখবর নেন। এ সময় তাহার সাথে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার।আবুল হোসেন আজান পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর কবির বিশ্বাস, হুমায়ূন কবির সুমন, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিক, দপ্তর সম্পাদক ফারুখ খান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব পদপ্রার্থী-মেহেদী মেহেদী হাসান হিমেলসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, হরিহর , অপার ভদ্রা ও বুড়িভদ্রা নদীর নাব্যতা না থাকা, অপরিকল্পিত মাছের ঘেরের কারণেই গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ নদ- নদী ও খালের কচুরিপানা অপসারণ না করায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে হরিহর ও বুড়িভদ্রা নদীর উপচে পড়া পানিতে তলিয়ে গেছে পৌর এলাকাসহ উপজেলার অধিকাংশ নিম্ন অঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার পরিবার। পানিবন্দি মানুষ বসত বাড়ি ছেড়ে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এছাড়া তলিয়ে গেছে কেশবপুর পাইকারি কাঁচা বাজার, ধান হাট, হলুদ হাটসহ প্রধান প্রধান সড়ক। অপরদিকে, উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
আবুল হোসেন আজাদ সাংবাদিকদের বলেন,বিগত দিনে কেশবপুর, মনিরামপুর,ও অভয়নগরে হরিহর নদী,সহ কোন নদী খননসহ পানি নিষ্কাষণে বিগত দিনের সরকার তেমন কোন ভুমিকা পালন করেনি। নদী খননের জন্য যে বাজেট হতো তা বিগত সরকার পন্থী নেতারা নাম মাত্র কাজ করে বাজেটের টাকা সব লুটপাট করেছে।যার কারণে আজ এই অঞ্চলে বৃষ্টি হলেই কেশবপুর পৌরসভা সহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়।যদি নদী খনন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা থাকতো তাহলে আজ এই পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।তিনি আরও বলেন, আমি কেশবপুর বাসির পাশে আছি।যেকোন প্রয়োজনে আমাকে স্মরণ করলে আমি কেশবপুর বাসীর পাশে আছি ও থাকবো।এবং আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি সরকার গঠন করে তবে বিএনপি সরকার কেশবপুরে বন্যা প্লাবিত না হওয়ার জন্য যা যা করার দরকার সব করা হবে।