মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জনপ্রিয় বিদ্যাপীট মোখলেছুর রহমান ডিগ্রি কলেজের বাসের যন্ত্রপাতি, ডিজেল চুরির ঘটনায় আটককৃত আসামীর জামিন না মনঞ্জুর করেছে আদালত। এই ঘটনা আটক হওয়া ব্যক্তির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ আরও দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ গত ২৮ শে জুলাই। তাদের আদালতে তোলা হলে তাদেরও জামিন না মঞ্জুর করে আদালত । গ্রেফতার হওয়া দুই আসামী হলেন মুবিন খান (৪০) এবং আল আমিন প্রকাশ আলা মিয়া। তারা নেশাগ্রস্ত বলে জানা গেছে।
মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ কলেজের বাস থেকে যন্ত্রপাতির সরিয়ে বিক্রি করার ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে পুলিশ আসামী ধরার জন্য তৎপর ছিল। মামলার ২নং ও তিন নং আসামীকে আটক করা হয়েছে । আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেছে। ‘
স্থানীয় সুত্র জানা গেছে , গত ২৩ শে জুলাই রাতে রাতগাঁও এলাকায় মোকলেছুর রহমান ডিগ্রি কলেজের দুটি বাসের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চুরি করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ফলে কলেজটির নয়শো শিক্ষার্থী পরিবহন সংকটে কলেজে যাতায়াত করতে পারছে না। এই ঘটনায় গত ২৪ শে জুরাই মামলা দায়ের করা হলে মোস্তাকিম আহমেদ (২৫) নামের এক আসামীকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া দুই আসামিদের আদালতে তোলা হলে আদালত আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাটায়।
এদিকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি মোস্তাকিম আহমেদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামী মুবিন ও আলা মিয়া স্বীকার করে যে তারা কলেজ বাসের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও ডিজেল চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছিলো। বর্তমানে কলেজ বাস দুটি পুরোপুরি নস্ট হয়ে যাওয়ায় সরকারের কাছে নতুন কলেজ বাসের জন্য দাবি জানিয়েছেন কলেজটির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
২০১০ সালে মোখলেছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বৃটেন প্রবাসী বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ রহিম সিআইপি। যুক্তরাজ্যের সুনামধন্য শিল্পপতি কাউন্সিলর এম এ রহিম বৈদেশিক মুদ্রায় বিশেষ অবদানের জন্য পর পর বার বার সিআইপি মনোনীত হন। দেশ বিদেশে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এম এ রহিম সিআইপি একজন দানশীল ব্যক্তি এবং একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। তাঁর দ্বারা ব্রটেন ও বাংলাদেশ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্টান গড়ে উটেছে।
বৃটিশ বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া এম এ রহিম সিআইপি প্রতিষ্ঠিত কলেজটির শিক্ষার্থীরা শুরু থেকে ভালো ফলাফল করে সাফল্যের শেখরে উপনীত হয়েছে। প্রতিষ্টনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ফলাফল শুরুর দুই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে শতভাগ পাশ করে কলেজটি সুনাম কুড়িয়েছে পুরো মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে। বর্তমানেও কলেজটি সাফল্যের শেখরে উপনীত।