মানববন্ধনে উপস্থিত একই গ্রামের মাজেদুর রহমান বলেন, গত ২৫ জুলাই নুরমোহাম্মদ তার বাড়িতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে ঘরের ভেতর আটকিয়ে নার্সিন বেগমকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসি ঘটনাটির বিষয়ে জানতে পারে। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে নিয়ে গেলে নামে মাত্র একটি অভিযোগ নেন তিনি। তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচারের দাবি জানান।
উপস্থিত সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন নুরমোহাম্মদ তার বাড়িতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীকে ডেকে নিয়ে ঘরের ভেতর আটকিয়ে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এ সময় তার শরীরের একাধিক স্থানে কামড়ের দাগ ছিল। পরে তাকে নিয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে নিয়ে যায় এবং একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করার পরও কেশবপুর থানার ওসি কোন রমক ব্যাবস্থ নেননি। এ ঘটনার সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বলেন, অভিযোগকারী নার্গিস বেগম তার ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য প্রায় এক বছর পূর্বে তার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা হাওলাত নেয়ে। যা এক সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। এ টাকা ফেরত চাওয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা কেশবপুর থানার দারোগা মোখলেছুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি তদন্ত করা হয়েছে। ঘটনার সময় নুর মোহাম্মদের পরিবারের সকল সদস্য বাড়িতে ছিল। হাওলাত দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় এটা করা হয়েছে।