কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঈদগাহ মাঠে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলা চাঁদপুর ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়িয়া শাহ নিয়ামতউল্লাহ ঈদগাহ মাঠে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আহতরা হলো- ওই এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৬), করিমের ছেলে মুনহর শেখ (৫৫) সিজারত (৪৩), মনজু আলীর ছেলে কলম আলী (৩৮), মনছুর শেখের ছেলে আলম হোসেন (৩০), জিয়া শেখের ছেলে জিহাদ শেখ (১৮), মুজাহিদের ছেলে সাবিদ সাহা, আবু দাউদের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫০) ও তাঁর ছেলে বাধন শেখ (২১)। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়ামতবাড়িয়ার শাহ নিয়ামতউল্লাহ ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা পরিষদের কমিটি নেই। আজ সোমবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঈদের নামাজ পড়ান মাওলানা সুরুজ আলী। তিনি নামাজ শেষে ঘোষণা দেন এবার কোনো মসজিদের নামে টাকা আদায় করা যাবে না। ইমামের কথা অমান্য করে স্থানীয় আলী রেজা (৬০) তাঁর লোকজন দিয়ে টাকা আদায় শুরু করেন। আর তাদের টাকা আদায়ে বাঁধা দেয় একই এলাকার ফারুক হোসেন ও তাঁর লোকজন। এ নিয়ে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। এরপর বেশকিছুক্ষণ উভয়পক্ষের মধ্যে চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে আহত মনোহর শেখ ও আলম হোসেন বলেন, ‘মসজিদের টাকা তুলতে বাধা দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সমর্থক আলী রেজা ও তাঁর লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। ইটপাটকেল মেরে আমাদের অন্তত সাতজনকে আহত করেছে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আলী রেজা মুঠোফোনে বলেন, ‘মসজিদের টাকা তোলার অপরাধে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করেছে। এতে আমাদের দুই - তিনজন আহত হয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’ সংঘর্ষের ঘটনা নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘ঈদের মাঠে টাকা তোলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদকঃ এস এম এইচ ইমরান, প্রকাশকঃ আমেনা খাতুন ইভা
All rights reserved ©2017dailyaparadhchakra.com