মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার

কুষ্টিয়া র‍্যাব-১২, সিপিসি-১ ক্যাম্পের মানবিক উদ্যোগে কুষ্টিয়ার এতিম মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল্লাহর আর্থিক সহায়তা, ঈদের জামা-কাপড় কেনা ও সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা প্রদান করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া গ্রামের দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের এক সুবিধাবঞ্চিত অসহায় শিক্ষার্থী ছোট্ট ছেলে শিশু আব্দুল্লাহ ইবনে সাফি(১০)। বাবা -মা থেকেও যেনো নেই তার কেউ। এতিম ওই মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল্লাহ কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার মির্জানগর এলাকার এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। গত ছয় মাস আগে এই মাদ্রাসা ও এতিমখানায় রেখে গেছেন তার মা। তারপর কেটে গেছেন পুরো ছয় মাস। মায়ের সাথে আর দেখা হয়নি শিশু আব্দুল্লাহর। বর্তমানে আব্দুল্লাহর একমাত্র মাথাগোজার ঠাই এই মাদ্রাসা। পুরনো একটি পাঞ্জাবী ও পুরনো টুপি পরেই প্রতিদিন মক্তবে পড়তে বসতে হয় আব্দুল্লাহকে । শুধু তাই নয় আব্দুল্লাহ চর্ম রোগে আক্রান্ত। অসুস্থ অবস্থায় সে দিনপার করছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থার খরচ চালানোর মত কেউ নেই। মাদ্রাসার খরচেই কোন রকম চলছে তার পড়ালেখা। ঈদে নতুন পোশাক দেওয়ার মত কেউ নাই তার।

এই বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মিডিয়ায় এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় আব্দুল্লাহর। ভিডিওটি র‍্যাব হেড কোয়ার্টারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হলে তার ঈদের পোশাক কিনে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় র‍্যাব ফোর্স।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ ও ২৮ মার্চ ২০২৫ তারিখ র‍্যাব হেডকোয়ার্টার ও র‍্যাব-১২ অধিনায়ক এর নির্দেশে র‍্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলামসহ র‍্যাবের টহল টিম মিরপুরের কওমিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ে যায়। সেখানে এতিম মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল্লাহকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয় এবং তার ঈদের জন্য নতুন পোশাকের মাপ নিয়ে পোশাক তৈরি করে দেওয়া হয়। তার অসুস্থতার কারনে চিকিৎসার জন্য সনো কনসালটেশন সেন্টার লিঃ কুষ্টিয়াতে তাকে উন্নত মানের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। সুস্থতার জন্য তার ওষুধগুলো ক্রয় করে দেওয়া হয়েছে।