মোঃ নাছির উদ্দীন, দিঘীনালা খাগড়াছড়ি
"বৈসাবি" এর আমেজে পাহাড়ে ফিরে আসুক শান্তি সম্প্রীতি,সৌহার্দপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
সকলের মঙ্গল কামনায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ফুল ভাসিয়ে বর্ষবিদায় এবং বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী আয়োজন ফুল বিজু পালন করলো পাহাড়ের চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ। এর মধ্য দিয়েই শুরু হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব বৈসাবি-র আনুষ্ঠানিকতা।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে দীঘিনালা উপজেলার মাইনী নদীর মাইনী ব্রিজ ঘাটে হাজারো পূণ্যার্থীর উপস্থিতিতে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। দীঘিনালা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ ওমর ফারুক এবং তাঁর সহধর্মিণী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফুল বিজুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
পাহাড়ি সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা এদিন পরিধান করেন তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। তারা বন থেকে সংগ্রহ করা বিজু, মাধবীলতা, রঙ্গনসহ নানা রঙিন ফুল দিয়ে নদীতে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে পূজা দেন। এসময় নদীর পাড়ে গঙ্গা দেবীর মঙ্গল কামনা ও উপগুপ্ত বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রার্থনা করেন তারা।
উৎসবে অংশ নেওয়া পূণ্যার্থীরা বলেন, "পুরোনো বছরের সব দুঃখ-কষ্ট ধুয়ে মুছে গঙ্গা দেবীর কাছে আমরা প্রার্থনা করি যেন নতুন বছরটি সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে।"
বৈসাবি উৎসব উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা সদস্য সমীর চাকমা বলেন, "ফুল বিজুর মধ্য দিয়েই বর্ষবরণের সূচনা হয়। আমরা বিশ্বাস করি, নদীতে ফুল ভাসিয়ে গঙ্গাদেবীর আশীর্বাদ নিয়ে আমরা নতুন বছরকে বরণ করি এবং পুরোনো বছরের গ্লানি বিদায় দিই।"
এভাবেই পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী গুলোর মধ্যে বর্ষবরণ এবং সংস্কৃতির সংরক্ষণে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠেছে ফুল বিজু।
সম্পাদকঃ এস এম এইচ ইমরান, প্রকাশকঃ আমেনা খাতুন ইভা
All rights reserved ©2017dailyaparadhchakra.com