June 26, 2025, 8:48 pm
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
শার্শা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০(দশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট গ্ৰেফতার-০১ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৪ নং বটতৈল ইউনিয়নের সাবেক মহিলা সদস্য শিল্পী খাতুন এর বিরুদ্ধে,হাজারো মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হাঁড়িয়াঘোপ ওয়ার্ড বিএনপির প্রস্তুতি সভা কুষ্টিয়ায় বাধবাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ নোটিশের প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ ঠাকুরগাঁওয়ে কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস ব্যাবসায়ীদের মানববন্ধন যশোরে ছেলের ধাওয়ায় বৃদ্ধ পিতা স্টোকে মৃত্যু মোল্লাহাট কে আর কলেজের নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দীপু’র সংবর্ধনা কানসাটে ১১ কেজি গাঁজাসহ স্ত্রী আটক,স্বামী পলাতক দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নে দীঘিনালা সেনা জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প আগামি ২৪ ঘণ্টায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা, ডুবতে পারে দেশের ১০টি জেলা
নোটিশঃ
আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। নিউজ শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

পটুয়াখালী জেলা রেজিস্ট্রি অফিস আর কতকাল এই জরাজীর্ণ ভবনে এবং ভাড়া বাসায় অফিস চালাবে?

মাহ্ফুজ নবীন
June 26, 2025, 8:48 pm

 মাহ্ফুজ নবীন

পটুয়াখালী জেলা রেজিস্ট্রি অফিস আর কতকাল এই জরাজীর্ণ ভবনে এবং ভাড়া বাসায় অফিস চালাবে? কবে নাগাদ জনসাধারণের কমবে একটা দলিল করতে গিয়ে ৮ নং ওয়ার্ড থেকে ৯ নং ওয়ার্ডে দৌড়াদৌড়ির ভোগান্তি?

পটুয়াখালী জেলা সদর জমি ক্রয় বিক্রয়ের সরকার কর্তৃক নিবন্ধনের একমাত্র অফিস হচ্ছে জেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস। এখানে দুর্নীতি নিয়ে না হয়, কথা না বললাম। কিন্তু এই একটি অফিসের কার্যক্রম দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাড়া বাসায় কার্যক্রম চলছে। মূল ভবন পরিত্যাক্ত অনেক বছর ধরে। কয়েকটি সরকার পরিবর্তন হলেও এখানের মূল ভবন যে, কবে নাগাদ নতুন করে তৈরি হবে, তার নিশ্চয়তা এখন অনিশ্চিত।

এখানে অব্যবস্থাপনার কথা এত বিস্তৃত যে, বলে কয়ে, লিখে শেষ করা অসম্ভব! এই পটুয়াখালী সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের মূল ভবন পরিত্যক্ত দীর্ঘ বছর ধরে চলছে, তবে কিছু দিন পূর্বেও এই অফিসটি ছিলো পটুয়াখালী চৌরাস্তার কাছাকাছি একটি ভবনে। এখন চলছে রুস্তম মৃধা কালভার্ট সংলগ্ন মৃধা বাড়ির একটি ভবনে।

পটুয়াখালী পৌর ভূমি অফিস

জানা যায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা এই অফিসের ভাড়া গুনতে হয়, প্রতিমাসে। তাই জানতে ইচ্ছে হয় দীর্ঘ বছর ধরে যে পরিমাণ এই রেজিষ্ট্রী অফিসে ভাড়া বাবদ অপচয় হয়েছে, তাতে মনে হয় একটা নিজস্ব ভবন নতুন করে ক্রয় করাও যেত। আর এই অফিস ভাড়ার টাকাটা সরকারের কোন খাত দিয়ে দেয়া হয়েছে? সেটাও খতিয়ে দেখার একটা বিষয়!

যে সকল ব্যক্তিগণ দলিল করতে এসে দাখিলার প্রয়োজন, তাদের তো আবার আরো একটু দৌড়াদৌড়ি করে ৫ নং ওয়ার্ড এ অবস্থানরত ভূমি অফিস থেকে খাজনা দাখিলা নিয়ে আসতে হবে। তাই ভোগান্তি পৌঁছায় আরো চরম পর্যায়ে!

বর্তমান ভাড়া বাসায় পটুয়াখালী সাব রেজিষ্ট্রার এর কার্যালয়

পটুয়াখালী রেজিষ্ট্রী অফিসের নিজস্ব ভবনের উন্নয়ন না করে ভাড়া অফিস নিয়ে অফিস চালাতে গিয়ে একে তো হচ্ছে রাষ্ট্রের টাকার অপচয়! অন্যদিকে তিনটি অফিসে একটি কাজের জন্য যাতায়াত তাতে সাধারণ মানুষের হয় মারাত্মক ভোগান্তি, সঙ্গে অযথা যাতায়াত খরচ এবং সময় অপচয়।

এই পটুয়াখালী রেজিষ্ট্রী অফিসে সকল দলিল লেখকদের নেই কোন বসার চেম্বার বা ঘর। অনেক দলিল লেখকগণ তাই ভাড়া বাসা বা দোকান ঘরে তাদের অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছে। নেই কোন সাধারণত জণগণের একটা বিশ্রামাগার, নূন্যতম একটু বসার স্থান, নেই খাবার কোন মান সম্মত হোটেল বা রেস্টুরেন্ট। এখানেই পুরোনো ভবনের পানির ট্যাংক থেকে পাহাড়ী ঝর্ণার দৃশ্য চলছে প্রায় সময়েই। এমন পানির অপচয় হওয়া স্বত্তেও কারো যেন কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, নেই মাথা ব্যথা বা বন্ধ করার কোন আগ্রহ। অথচ এই পটুয়াখালী রেজিষ্ট্রী অফিসের বাউন্ডারির মধ্যেই পরিকল্পিত ভাবে এখানে সব কিছুই করা সম্ভব।

পটুয়াখালী জেলা সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের পরিত্যক্ত ভবনের ছবি

দ্বায় সারা এখনকার কমিটিরও নেই তেমন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলার আগ্রহ। তাই লাগামহীন অনিয়ম আর বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরেই এখানকার বিশৃঙ্খল পরিবেশই এখন মানুষের অসহ্যের কারণ। তবুও জানতে চাওয়া, কবে হবে প্রতিকার?

তাই ৮ নং ওয়ার্ডে এই পটুয়াখালী রেজিষ্ট্রী অফিসের মূল ভবন আর ভাড়া নেয়া অফিসটি বর্তমানে ৯ নং ওয়ার্ডে। একটা দলিল রেজিষ্ট্রী করণ প্রক্রিয়ায় এই ৮ আর ৯ নং ওয়ার্ড, কখনো ভূমি অফিস ৫ নং ওয়ার্ডে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে সকল দলিল লেখকগণসহ সকল দলিল দাতা গ্রহিতার এই চরম ভোগান্তির অবসান এখন পটুয়াখালীবাসীর দাবী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এরকম আরো নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর