===-মাহ্ফুজ নবীন====
পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংক থেকে ডিসি কোর্ট হয়ে জজ কোর্ট, সঙ্গে জেলা রেজিষ্ট্রী অফিস এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড এই পাঁচ অফিসের সন্মুখ দিয়ে পুরনো সড়কটি দীর্ঘ বছর ধরে বন্ধ থাকায় জনগণের হচ্ছে মারাত্মক ভোগান্তি!
একযোগে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা হয়েছিলো? আর ঠিক তার পরপরই বন্ধ হয়ে যায়, পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংক থেকে ডিসি কোর্ট হয়ে জজ কোর্ট, সঙ্গে জেলা রেজিষ্ট্রী অফিস এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড এই পাঁচ অফিসের সন্মুখ দিয়ে পুরনো সড়কটি। যে সড়কের মাধ্যমে সকল জনগণ আইনি সেবা নিতে আদালতসহ নানাবিধ প্রয়োজনে সকল অফিসগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে যাতায়াত করতে পারতো।
পটুয়াখালী রেজিষ্ট্রী অফিস এর ভেতরের সড়ক পূর্ব দিগ বরাবর দেখা যাচ্ছে জজকোর্ট এর দেয়াল উঠিয়েবন্ধ করে দেয়া হয়েছে
দীর্ঘ বছর অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও আজো এই সড়কটি চালু করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নেয়া হয়নি জনগণের একটু স্বস্তির কথা চিন্তা করে এই পথের চলাচলের ব্যবস্থা!
তাই মানুষের ভোগান্তি পৌঁছে গেছে মারাত্মক ভাবে। পাশাপাশি সরকারি কয়েকটি অফিস যেমন- ডিসি কোর্ট, জজকোর্ট, রেজিষ্ট্রীসহ অন্যান্য থাকা স্বত্বেও অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়। তাতে সময় অপচয়সহ হচ্ছে মানুষের যাতায়াত খরচ। এবং এই সড়কটি উন্মুক্ত হলে কমে যেত অযথা মূল সড়কের যানবাহনের জ্যাম বা যানজটসহ ও জনসাধারণের বাড়তি চাপ।
এই সড়কটি বন্ধ না করে তার জন্যে হতে পারতো আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর তল্লাশি ব্যবস্থাপনায় মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো মশ্রিণ এবং সময় উপযোগী করার। হতে পারতো প্রতিটি অফিসে প্রবেশ দ্বারে দাড়য়ানের ব্যবস্থা বা সিকিউরিটি গার্ডের ব্যবস্থা করণ৷ হতে পারতো কিছু নতুন লোকজনের কর্মসংস্থান।
কিন্তু এসব বিষয়ে কোন রূপ চিন্তা বা আধুনিক কোন বিকল্প ভাবনা না রেখেই সহজেই অদক্ষ নির্দেশণায় দীর্ঘ যুগ ধরে এই সড়কটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন এমন হয়েছে এখনকার অনেক প্রজন্ম জানেই না এইখানে একটা উন্মুক্ত সড়ক ছিলো!
পটুয়াখালী জজকোর্ট এর ভেতর দিয়ে পশ্চিম দিগের সড়ক যা এখন বন্ধ করা আছে দেয়াল দিয়ে। দেয়ালের পাশেই রেজিষ্ট্রি অফিস দেখা যাচ্ছে
শুধুমাত্র জজকোর্ট থেকে ডিসিকোর্ট যাওয়ার জন্যে একটা ছোট্ট পকেট গেট খোলা থাকে। আবার কখনো ডিসি কোর্ট থেকে সোনালী ব্যাংক যাওয়ার জন্য ডিসি কোর্টের পূর্ব পাশের গেটটি মাঝেমধ্যে পুরো গেটটি খোলা থাকে, আবার বন্ধ করে দেয়া হয়, তবে পকেট গেট প্রায়শই খোলা থাকে। জজ কোর্টের পশ্চিম পাশে গেটটি তো একেবারে দেয়াল উঠিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যা এক সময় জজ কোর্ট থেকে কোন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে দলিলের খোঁজ নিতে সহজেই যাওয়া যেত। এখন একটা অফিস থেকে পাশের অফিসে ঘুরে যেতে লাগে নুন্যতম ২০ টাকা রিকশা ভাড়া। যেন দেখার কেহ নাই, যা ইচ্ছে তাই চলছে।
এমন পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে যেন এক অফিস অন্ অফিসের চেহারাই দেখতে চায় না। তাদের মধ্যে চিরস্থায়ী কোন শত্রুতায় এমন বন্দবস্ত তৈরি হয়েছে। যা কোনদিন আর আপোষ হবার নয়! অথচ গুগল ম্যাপ থেকেও এখনো দেখা যায় সেই পুরনো এই সড়কটি!
পটুয়াখালী জজকোর্ট এর ভেতর দিয়ে পশ্চিম দিগের সড়ক যা এখন বন্ধ করা আছে দেয়াল দিয়ে। দেয়ালের পাশেই রেজিষ্ট্রি অফিস দেখা যাচ্ছে
বোমা হামলাকারীদের বিচার চলছে সারাদেশে বিভিন্ন আদালতে কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া ভোগান্তি এখনো পাচ্ছে পটুয়াখালীবাসীর কয়েক লক্ষাধিক নিরীহ মানুষ।
তাই সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কাছে জানতে চাওয়া আর কতো বছর পরে, এই বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়কটি উন্মুক্ত করণ করে জনগণের মারাত্মক ভোগান্তি কমাতে পারবেন বলে মনে করছেন? নাকি এখানকার জেলাবাসীকে নানাভাবে অবরুদ্ধ করে ভোগান্তির মাধ্যমেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কাউকে শান্তি- স্বস্তি দেয়া হচ্ছে?
পটুয়াখালী রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে পশ্চিম দিগে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর সড়ক এবং এই সড়ক বরাবরই পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেট ছিলো। বর্তমানে দেয়াল উঠিয়েবন্ধ করে দেয়া হয়েছে