সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর মোহনা এ অভিযান চালান। এ সময় ৩টি ড্রেজার ও বালু উত্তোলন ও নৌযান থেকে চাঁদা আদায়ের দায়ে ৬জন কে আটক করেন।
জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া এবং পার্শ্ববর্তী মতলব উত্তর থানা সীমানা ঘেঁষে মেঘনা নদীতে একটা মহল প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নৌ-পথে জলযান থেকে চাঁদা এবং অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। গ্রাম ঘেঁষে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে পড়ে এলাকার রাস্তা ঘাট, জমি, গাছ পালা ও বিভিন্ন স্থাপনা। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়েও তারা বালু খেকোদের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারেন নাই।
নদীতে নৌযান থেকে চাঁদাবাজি ও বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে গজারিয়া নৌ থানায় মামলা হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি একাজে জড়িতরা। সম্প্রতি গজারিয়া থানায় অবস্থান নেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান। এ সময় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান নৌপথে চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার স্থানীয়দের আশ্বাস দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নৌ-পথের চাঁদাবাজি ও বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান। একটি স্পিডবোট নিয়ে অভিযান শুরু হয় মেঘনা থেকে পরে শাখা নদীগুলোতে দিনভর অভিযান চালানো হয়। এ সময় গ্রাম ঘেঁষে বালু উত্তোলনের সময় তিনটি ড্রেজার জব্দ ও ৬জনকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যেরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন,তাদের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং যে কোন অপরাধীদের সেনাবাহিনী ছাড় দেবে না।
সম্পাদকঃ এস এম এইচ ইমরান, প্রকাশকঃ আমেনা খাতুন ইভা
All rights reserved ©2017dailyaparadhchakra.com