প্রতিদিন ডিভোর্স এর সংখ্যা বাড়ছে। পরকিয়ার আসক্তিও বাড়ছে। মানুষ তার মনকে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের জন্যে স্থির রাখতে হচ্ছে ব্যর্থ।
অবাধ সাংস্কৃতিক আগ্রাসন যা যা শিখিয়ে যাওয়ার কথা তার চাইতে ক্ষতির তীব্রতাও ছড়াচ্ছে বেশ। যার সংখ্যা অপরিসীম। মানুষ শোষণ শাসন করতে অভ্যস্ত হয়ে পরছে। বিবেক, বোধ, বিবেচনা ভুলে মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছে।
প্রেম ভালোবাসায় প্রতারণা জমছে চরম পর্যায়ে।
বিশ্বাস এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যা প্রায় অদৃশ্য।
স্রষ্টাও বরাবরের মতো নিশ্চুপ থাকছে বলেই মানুষ আর অমানুষের পার্থক্য করা হয়ে যাচ্ছে দূরহ ব্যাপার।
সর্ম্রাট নেপোলিয়ন বলেছিলেন- একটা শিক্ষিত মা দাও, আমি একটা শিক্ষিত জাতি দেবো।
হয়তো সময়ের প্রেক্ষাপটে বদলে যাচ্ছে সেই বিখ্যাত উক্তি। নিস্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে সেই বাণীর মর্মার্থ।
তাই এমন প্রেক্ষাপটে বলতে ইচ্ছে করছে—
একজন ধার্মিক, স্বামীর প্রতি যার থাকবে ভক্তি শ্রদ্ধা এমন একজন অশিক্ষিত সাংসারিক মা বা নারী ভবিষ্যতে ঘরে ঘরে প্রয়োজন পরবে, এটা নির্ঘাত বলতে পারি।
তাই ভবিষ্যতে কেমন মা পাচ্ছি?
হয়তো এমন কতক অভাগা নারীর ছত্রছায়ায় নির্যাতিত পুরুষের আর্তি নিবেদন নিষ্পেষিত হবার জোড়ালো প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে।
তার ভয়ালো প্রেক্ষাপটের আংশিক চিত্র দেখেই বুঝতে হবে—। এবং মা ডাকার মতো কোমলমতি মানুষটা কেমন যেন অশরীর আত্মায় ভর করে প্রেতাত্মার রূপ নিচ্ছে।
যেখান থেকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বটা শুধুমাত্র স্রষ্টাই নিতে পারে। নাকি মানুষের তৈরি আইন, নাকি মানুষের ভিন্ন কোন গুণাবলির মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব? নাকি একেবারেই সম্ভব না?