কুষ্টিয়ার এনএস রোডের দুই পাশে ফিরতি রথযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত গ্রামীণ মেলায় এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত কর্তৃক চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। ৫ জুলাই দুপুর ১টার দিকে তোফাজ্জল হেলথ কেয়ারের সামনে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে现场ে যান স্থানীয় সাংবাদিকরা। সেখানে দেখা যায়, ৭-৮ জনের একটি চাঁদাবাজ চক্র কুষ্টিয়া পৌরসভা-র ভুয়া খাজনা রশিদ দেখিয়ে অস্থায়ী দোকানিদের কাছ থেকে ৫০, ১০০ এবং কখনো ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। এমনকি ক্যামেরার সামনে চাঁদা আদায়ের দৃশ্য ধারণ করার সময় চাঁদাবাজরা সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়।
এটিএন বাংলা ও দৈনিক কালবেলা-র জেলা প্রতিনিধি খ. তুহিন আহমেদ ও ক্যামেরাম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ আক্রান্ত হন। দুর্বৃত্তরা তাদের ক্যামেরা ভেঙে ফেলার পাশাপাশি সালাউদ্দিন আহমেদের মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে পৌর কাউন্সিলর কৌশিক আহমেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রোমান (৪৫), পিতা: মজনু এবং শামিম (৪০), পিতা: মৃত লাল, উভয়েই আড়োয়াপাড়া রাজার পুকুর এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া চাঁদা আদায়কারী হিসেবে আরও নাম পাওয়া গেছে—আসিফ, তারেক, শাহিন ও খোকন। অস্থায়ী দোকানদার মো. সামাদ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রথমেলায় দা-বটি-কাঁচি বিক্রি করি। এবারই প্রথম দেখলাম খাজনার নামে টাকা নিচ্ছে।” বারাদি এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী মাহাবুল জানান, “আগে কখনো এমন দেখিনি, এবার টাকা না দিলে ভয় দেখাচ্ছে।”কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, “এ বিষয়ে আগেও অভিযোগ পেয়েছি। থানায় জাল রশিদে খাজনা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মেলায় ব্যবসা করতে আসা অনেকেই অভিযোগ করেন, ফিরতি রথের মতো এক সপ্তাহ আগে মূল রথেও একইভাবে চাঁদা তোলা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, এ চাঁদাবাজরা আগের শাসনামলে দলীয় পরিচয়ে এমন কর্ম করলেও বর্তমানে জেলা বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় অপকর্ম চালাচ্ছে।এ ঘটনায় মেলা ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।