কুষ্টিয়ার রয়েল এক্সসিলেন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে ঘটিত অপ্রীতিকর একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পরবর্তীতে তা আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া থানায় হাজির হয়ে মেহেরপুর জেলার শুভ রাজপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জহির হোসেন (৫০) একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর ছেলে মাইনুর রহমান নিলয় (১৫), রয়েল এক্সসিলেন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। কলেজের আবাসিক ভবনে বসবাসরত অবস্থায় একই শ্রেণির ছাত্র মঈন রহমান ওরফে দুর্জয় (১৬) এবং সিয়াম হোসেন (১৫) তাঁর ছেলেকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ২ জুলাই দিবাগত রাত ১টার দিকে উক্ত দুই ছাত্র পরিকল্পিতভাবে নিলয়কে ডেকে নিয়ে মুখ ও হাত-পা বেঁধে বেল্ট দিয়ে মারধর করে। পরবর্তীতে সে বাথরুমে আশ্রয় নিলে দরজায় ছিদ্র করে, পানি ঢেলে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে তাকে বের করে পুনরায় হুমকি ও মারধর করা হয়। তবে পাশের রুমে থাকা শিক্ষক মোঃ লিখন এসে তাকে উদ্ধার করেন। তবে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের পর ভিন্ন চিত্র সামনে আসে। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ঘটনাটি ছিল মূলত কিছু ছাত্রের মধ্যে মজা ও চ্যালেঞ্জ ভিত্তিক আচরণ, যা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে নিলয় নিজেই প্যান্ট খুলে দিতে চ্যালেঞ্জ জানায় এবং ইয়ার্কির মধ্যে বাথরুমে গিয়ে লুকায়। পরে ভয় পেয়ে সে বিষয়টি ভয়াবহভাবে ব্যাখ্যা করে বাবাকে জানায়। পরে স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। অভিযোগকারী জহির হোসেন নিজেই স্বীকার করেন, ভুল বুঝাবুঝির ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরে তিনি অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে বিষয়টি বন্ধুত্বপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে।