শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
যশোর-৬ কেশবপুর আসনের ধানের শীষের কান্ডারী আবুল হোসেন আজাদের আজ জন্মদিন কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা, আহত ১ কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়ক দখল করে গ্যারেজ ব্যবসা, দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে জনসাধারণ। কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়ক দখল করে গ্যারেজ ব্যবসা, দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে জনসাধারণ। বিএনপি সূদীর্ঘ ১৮ বছর ধরে গনততন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য আন্দোলন করেছে। কেশবপুরে আলোচিত সমালোচিত সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল গ্রেফতার আমতলীতে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার, আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিলেন কলেজ শিক্ষার্থী! কুমারখালী রেলস্টেশনে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্ম ছাড়লেন যশোর জেলা আহ্বায়ক রাশেদ খান কেশবপুরে জনতার হাতে এক চোর আটক ,ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল জব্দ
নোটিশঃ
আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। নিউজ শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী মাস্টার বলেন, দলকে রাজনগরে একটি একক জবাবদিহিমূলক সংগঠন হিসাবে প্রতিষ্টা করবো

রিপোর্টারের নামঃ
July 4, 2025, 8:20 am

 

মোস্তাক চৌধুরীঃ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনগর উপজেলার সম্মেলন হয়ে গেলো। সম্মেলনকে ঘিরে রাজনগর উপজেলার সর্বত্র জল্পনা কল্পনার শেষ ছিল না। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তার অবসান হল। রাজনগর উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। উক্ত সম্মেলনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সভাপতি নির্বাচিত হন নুরুর ইসলাম সেলুন, সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির সিনিয়র রাজনীতিবিদ, খ্যাতিমান শিক্ষক জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, জাগদল রাজনগর উপজেলার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস আলী মাস্টার। এছাড়া পাঁচ পদে ১১ জন প্রতিদন্দ্বীতা করে পাঁচ জন নির্বাচিত হয়েছেন।

 

এ নিয়ে জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবর মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলী মাস্টারের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা মরহুম রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রজীবন থেকে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনৈতি করে আসছি। সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, উন্নয়নের রূপকার আমার নেতা যার হাতে আমার রাজনৈতি হাতেখড়ি। যার হাত ধরে আমি রাজনৈতির রাজপথে চলতে শিখেছি। মরহুম এম সাইফুর রহমানের নীতি, আদর্শ ও উন্নয়নের রাজনীতিকে সামনে নিয়ে আমি আজ অবধি রাজপথে আছি। থাকবো।

 

তিনি বলেন, আমি ২৮ জুনের সম্মেলনের কাউন্সিলে রাজনগর উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলাম । আমার দল গণতন্ত্রকামী দল, তাই গণতান্ত্রিকভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে আমি প্রার্থী হয়েছিলাম, আমার দলের সম্মানিত রাজনগর উপজেলার কাউন্সিলারগণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমাকে এ বয়সে এসে তারা ঋণী করেছেন। আমি যেন দলের জন্য কাজ করে তাদের ঋণ শোধ করতে পারি। আমি যেন সততা জবাবদিহিতার সাথে কাজ করে দলের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে পারি।

রাজনগরের সৎ সাহসী ও কর্তব্যপরায়ন রাজনৈতিক নেতা আব্বাস আলী মাস্টার আরও বলেন কিছুদিন পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সফল করতে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী সাবেক সংসদ সদস্য মৌলভীবাজারের মাটি ও মানুষের নেতা ও সাবেক মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি জাতীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে দল মত পথের উর্ধে উঠে কাজ করতে হবে। দলকে শক্তিশালী করতে দলের গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে পড়া মরহুম সাইফুর রহমানের ভক্তকূল বিএনপির নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করতে হবে। দলকে সংগঠিত করতে সকলে মিলে কাজ করতে হবে।

 

জানাগেছে ১৯৭৮ সালের শুরুতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা মরহুম রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রপ্রতি হন তখন আব্বাস আলী মাস্টার মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত। সেই সময় মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ডিগ্রী কলেজ ছিল। আব্বাস আলী মাষ্টার জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্রিক দল বিএনপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি ছাত্রদলের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হন।

 

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যখন যুক্ত হন তৎকালীন সময়ে মৌলভীবাজার ডিগ্রি কলেজে হাতেগোনা কয়জন ছাত্র নিয়ে তিনি ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। তারপর তিনি মৌলভীবাজার জেলার সবকটি উপজেলা যেমন রাজনগর, কুলাউড়া, বড়লেখা, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ থানায় ছাত্রদলে আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। পরে বেশ কিছুদিন কাজ করে সবকটি থানায় তিনি কার্যকরী কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন । তার কিছুদিন পুর্বে ডিগ্রি পাশ করে তিনি রাজনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলাগাঁও করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। কিন্তুু হাল ছাড়েননি রাজনীতির। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন।

 

সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান বাণিজ্য উপদেষ্টা হয়ে যখন মৌলভীবাজার আসেন এবং মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি গঠন করেন তখন বিশিষ্ট আইনজীবি এডভোকেট মরহুম সৈয়দ আব্দুল মতিন জিপিকে আহবায়ক করে জাগদলের কমিটি গঠন করা হয়। তিনি বলেন, এম সাইফুর রহমানের হাত ধরেই আমার রাজনৈতির শিক্ষার হাতেখড়ি। তাঁর নেতৃত্ব ৭৯ সালে রাজনগর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই একটি কাউন্সিলের মাধ্যমে। তখন যুবদলের সভাপতি ছিলেন রাজনগরের আব্দুল হাকিম বখত সুন্দর। তারপর জেলা যুবদলের সহসভাপতি নির্বাচিত হই। এর কিছুদিন পর এক বিশাল সম্মেলনের মাধ্যমে আমি রাজনগর উপজেলা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হই। সেই সম্মেলনে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তখন এম সাইফুর রহমান প্রথম অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন।

 

তিনি বলেন, এম সাইফুর রহমানের হাত ধরেই আমার ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতিতে আশা আজ অবধি জাতীয়তাদী দলের আদর্শে দীক্ষা নিয়ে রাজপথে আছি, ছিলাম, থাকবো। তিনি যুবদলের নেতা থাকাকালীন নিএনপির রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন দিনকে রাত করে। মরহুম আতাউর রহমান চৌধুরীকে সভাপতি করে যখন বিএনপির রাজনগর থানা কমিটি গঠন করা হয় সেই কমিটির তিনি শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন । মরহুম আতাউর রহমান চৌধুরী ন্যাপের রাজনৈতির সাথে যুক্ত ছিলেন। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে নিয়ে আব্বাস আলী মাস্টার আতাউর রহমান চৌধুরীর কাছে গিয়েছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে মরহুম সাইফুর রহমান দলকে শক্তিশালী করেন।

 

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে আমাকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী মৌলভীবাজার জেলার মাটি ও মানুষের নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আমার নেতা মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমাকে রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন সেই সময়টা খুব কঠিন সময় ছিল তখন আমি ও আমার দল হামলা মামলা হামলা তটস্থ ছিলাম। আওয়ামী লীগের দ্বারা আমার দল বিএনপির যুবদল ও ছাত্রদল মিথ্যা মামলায় অনেকেই কারাবরণ করতে হয়েছে। মিথ্যা মামলা হামলা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে দলের নেতা কর্মী কিন্তুু হাল ছাড়েনি দলের ত্যাগী নেতা কর্মীরা তাদের মুল্যায়ন করতে হবে। জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে ওরা রাজপথে ছিল। সেই সময় যারা দলের সাথে বেইমানি করে আওয়ামীলীগের দালালী করেছে তাদের আমরা চিনিও জানি তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

 

আব্বাস আলী স্যার আমার সরাসরি শিক্ষক। আমি যখন প্রাইমারির গন্ডি পেরিয়ে খলাগাঁও করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি হই তখন কিছু দিন হয় স্যার বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে এসেছেন । আমাদের স্কুলের খেলাধুলা মিলাদ সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কেন্দ্র বিন্দু ছিলেন আব্বাস স্যার। আমাদের যে কোন সমস্যা স্যারের সাথে আলাপ করতাম। স্যারের সাথে খুব ফ্রি ছিলাম । আমি যখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি তখন স্যার একদিন আমাদের কয়েকজনকে ডেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হতে বলেন। আমি সরাসরি স্যারকে না বলিনি। তখন কিন্তু আমি কোন রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম না। স্কুলের ক্লাস কেপ্টিন ছিলাম । স্যারকে পরে জানাবো বলে কেটে পড়ি।

 

স্যার শিক্ষকতা পেশায় থাকলেও স্যারের মূল পেশা ও নেশা ছিল রাজনীতি। স্কুল শেষেই স্যার স্হানীয় মুন্সিবাজার গিয়ে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখতাম। ৯০ দশকে যখন আমরা কলেজের ছাত্র তখন ৯০ য়ের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে স্যার একজন শিক্ষক হয়েও ছাত্রদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। তখন স্যার যুবদলের রাজনগরের সভাপতি ছিলেন। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে স্যার মিটিং মিছিলে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন । তখন স্যার /ছাত্র আমরা একাকার হয়ে যেতাম। আমরা স্যারের দল না করলেও স্যারের সাথে আমাদের সম্পর্কের কোন অবনতি হয়নি। যে কোন বিষয়ে স্যার আমাদের সাথে আলাপ আলোচনা করতেন। আমার লেখাপড়া রাজনীতি সমাজনীতি এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে গেলে সহযোগিতা করতেন।

 

স্যার আপাদমস্তক একজন সৎ সাহসী প্ররিশ্রমী সাদা মাটা সাদা মনের মানুষ। মরহুম সাইফুর রহমানের ছুঁয়ায় রাজনগরের অনেক নেতাই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন কিন্তু স্যারের বা স্যারের পরিবারের ব্যক্তিগত কোন উন্নয়ন আমাদের কারো চোখে পড়েনি। মুন্সীবাজারের সবকটি রাস্তা স্যার কতৃক পাকাকরন করা হয়েছে তবে স্যারের বাড়ির রাস্তা এখনও কাঁচা। ইদানীং স্যারের পরিবার ভাল অবস্থানে রয়েছেন কারন স্যারের ছেলে মেয়ে বৃটেনে স্হায়ী ভাবে বসবাস করছে। স্যার একজন সৎ ও সততার চাদরে মোড়ানো পরোপকারী লোক। স্যার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। দল ক্ষমতাসীন হলে স্যারের কাছে অবহেলিত বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনপদ রাজনগর উপজেলায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে।

 

পরিশেষে আমরা যারা স্যারের ছাত্র রাজনগরের উন্নয়নে কল্যাণে স্যারের জন্য শুভ কামনা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এরকম আরো নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর