June 26, 2025, 5:41 pm
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
শার্শা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০(দশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট গ্ৰেফতার-০১ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৪ নং বটতৈল ইউনিয়নের সাবেক মহিলা সদস্য শিল্পী খাতুন এর বিরুদ্ধে,হাজারো মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হাঁড়িয়াঘোপ ওয়ার্ড বিএনপির প্রস্তুতি সভা কুষ্টিয়ায় বাধবাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদ নোটিশের প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ ঠাকুরগাঁওয়ে কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস ব্যাবসায়ীদের মানববন্ধন যশোরে ছেলের ধাওয়ায় বৃদ্ধ পিতা স্টোকে মৃত্যু মোল্লাহাট কে আর কলেজের নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দীপু’র সংবর্ধনা কানসাটে ১১ কেজি গাঁজাসহ স্ত্রী আটক,স্বামী পলাতক দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নে দীঘিনালা সেনা জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প আগামি ২৪ ঘণ্টায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা, ডুবতে পারে দেশের ১০টি জেলা
নোটিশঃ
আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। নিউজ শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

আমতলীতে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত তরমুজ চাষিরা,সেন্ডিকেটের গ্যারাকলে ভোক্তারা

মোঃবায়েজীদ (আমতলী প্রতিনিধি)
June 26, 2025, 5:41 pm

 

মোঃবায়েজীদ (আমতলী প্রতিনিধি)

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার দ্বিতীয় অর্থকারী ফসল তরমুজের মাঠ জুড়ে সমারোহ। মাঠের পর মাঠ জুড়ে আবাদ হয়েছে তরমুজ। আবহাওয়া ও মাটি এ অঞ্চলে তরমুজ একটি লাভজনক ফসল।

গত দুই বছরে বৈরী আবহাওয়া ও বাজারজাত করণে তেমন একটা সুবিধা করতে পারে নাই তরমুজ চাষিরা। চলতি বছরে রমজানে বেশি দামের আশায় আগাম তরমুজ চাষে উদ্যোগী হন কৃষকেরা। স্বপ্নবুনেন পিছনের ক্ষতি পুষিয়ে নিবেন আগাম চাষে।

তিন মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মাঠ থেকে বাজারে তরমুজ উঠলে চাষির স্বপ্ন যেন স্বপ্নই থেকে গেল। এ বছর বাম্পার ফলনে কৃষক লাভের স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবতা দেখাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। হাত ঘুরলেই বেড়ে যাচ্ছে তরমুজের দাম। চার হাত ঘুরে ১৫০ টাকার তরমুজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। এতে মৌসুমের প্রথম ফসল হিসেবে বাজারে আসার পরেও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। এদিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, খুচরা বিক্রেতারাই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন, যা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

সরজমিনে কৃষকের ক্ষেত, পাইকার, আরতদার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে গিয়ে জানা যায়, কৃষক থেকে খুচরা বিক্রেতা-এর মধ্যে ৪ হাত ঘুরে প্রায় চার গুণ বেশি দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। সাধারণত কৃষকদের কাছ থেকে তরমুজ কিনে থাকেন পাইকাররা, কখনো ক্ষেত চুক্তিতে, কখনো পিস হিসেবে। ক্ষেত থেকে পিস হিসেবে কেনা তরমুজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয় আরতদারদের কাছে।

ক্ষেত থেকে কৃষক প্রতি পিছ তরমুজ বিক্রি করছেন ১৫০ টাকায়। পাইকার ও আড়তদারদের হাতে পরে সেটি বিভিন্ন সাইজে ভাগ হয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছাচ্ছে ১০০-৩০০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতা ৩০০ টাকায় কেনা তরমুজই ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। এতে খুচরা বিক্রেতারা লাভ করছেন শতকরা ৬০-১৩০ ভাগ।

আড়তদার আর খুচরা বিক্রেতা দ্বিগুণ লাভ করলেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না কৃষক, আর সিন্ডিকেটের গেরাকলে ভোক্তারা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন চড়া দামে। কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী, কৃষক থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লাভ করা যায়। অথচ বাস্তবে খুচরা বিক্রেতারা ৬০-১৩০ শতাংশ পর্যন্ত লাভ করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এরকম আরো নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর