দখল,চাঁদাবাজী ও মিথ্যে মামলার ভয় দেখানো সহ নানা অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলন করেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩ নং আঁকচা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু তালেবের বিরুদ্ধে।
শনিবার দুপুরে পৌর শহরের উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভূক্তভোগী মাজেদুর রহমান, মুজা, জসীম উদ্দিন, সফিকুল ইসলাম, রমেশ চন্দ্র ও সুমন্ত সেন।
ভূক্তভোগীরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন সুব্রত চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল এ নেতা। আওয়ামীলীগের সময় আওয়ামীলীগের নেতা, বিএনপির সময় বিএনপির নেতা। আবু তালেব এখন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছে। দিনের পর দিন তার অপকর্মের মাত্রা বেড়েই চলেছে। সন্ত্রাস বাহিনীদের মাধ্যমে জমি দখল করার পাঁয়তারা করে আসছেন এ নেতা। হয় জমি ছাড়তে হবে নতুবা দিতে হবে মোটা অংকের চাঁদা। এসবের কোনটাই না দিতে চাইলে বাড়িতে সন্ত্রাসীদের পাঠিয়ে হেনস্থা করা হয় তাকে। এমনকি চাঁদা অথবা জমি না ছাড়লে সংখ্যালঘুদের ভারতে পাঠিয়ে দিবে এমনো হুমকি দেয় তালেব।
অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে মাজেদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমি প্রায় সাড়ে তিন বিঘা জমির জন্য ফাড়াবাড়ি বাজারের মৃধা বীজ ভন্ডার থেকে ভূট্টার বীজ ক্রয় করি। বীজ বপনের এক মাস হলেও কোন গাছ না গোজালে আমি সেই বীজের প্যাকেকটি দোকানে নিয়ে গেলে সেখানকার লোকজনের মুখে বুঝতে পারলাম দোকানদার আমাকে মেয়াদোত্তীর্ণ বীজ দিয়েছে। বিষয়টি দোকানদার এক পর্যায়ে স্বীকার করে। এতে আমার প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন হলেও আমি দোকানদারকে কোন টাকার চাপ দেইনি কিংবা আমি কাউকে বিচারও দেইনি। কিন্তু তালেব ক্ষমতার অপব্যবহার করে দোকানদারের কাছে জোরপূর্বক ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করছেন এবং হুমকিও দিয়েছেন।
বিএনপি এ হাইব্রিড নেতার অত্যাচার থেকে বাঁচতে স্থানীয় বিএনপি নেতাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা পায়নি ভূক্তভোগী মুজা, জসীম উদ্দিন, সফিকুল ইসলাম, রমেশ চন্দ্র ও সুমন্ত সেন।
শান্তিপূর্ণভাবে নিজ এলাকায় বসবাসের জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অত্যাচারী এ বিএনপি নেতা আবু তালেবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভূক্তভোগীরা।