মোস্তাক চৌধুরীঃ

আওয়ামী আমলের নির্যাতিত ত্যাগী ও বার বার কারা নির্যাতিত বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মী নিয়ে সংগঠিত এম. সাইফুর রহমান পরিষদ নামে একটি সংগঠন সংগঠিত হয়েছে রাজনগর উপজেলার বিএনপির ঘাটি নামে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী মুন্সীবাজার ইউনিয়নে। উক্ত কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত করা হয় মুন্সীবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসাহী মেদেনী মহল এলাকার ফারুক আহমেদকে। উক্ত পরিষদের সদস্য সচীব নির্বাচিত করা হয় বিএনপির ত্যাগী নেতা, বিএনপির ফরিদপুর গ্রামের অন্যতম বিএনপির প্রতিষ্টাতা বিশিষ্ট শালিস ব্যক্তিত্ব মরহুম আব্দুল মন্নান সাহের বড় ছেলে আব্দুল হক তালুকদারকে। এবং পরিষদের মুখপাত্র হিসাবে রয়েছেন ২০০০ সালে জিয়া পরিষদের নামে রাজনীতিতে আসা আজকের রাজনগর উপজেলার বিগত আওয়ামী আমলের রাজপথ কাঁপানো ছাত্র ও যুব আন্দোলনে কারা নির্যাতিত যুবনেতা সাবেক জিয়া পরিষদ ও ছাত্রদলের বার বার নির্বাচিত মুন্সীবাজার ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এম জুবায়ের আহমেদ জুবের।

এম জুবায়ের আহমেদ জুবের ১৯৯৮/৯৯ দশকে যখন জিয়া পরিষদের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসে তখন বিএনপির সাইফুর রহমান ভক্ত ও বিএনপির সংগঠনের ভাল অবস্থান থাকলেও ছাত্রদলের তেমন একটা কার্যক্রম ছিল না। হাতেগুনা কজন ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন । এম জুবায়ের আহমেদ জুবের তখন স্কুল থেকে একঝাক ছাত্র নিয়ে ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করে। খুবই দক্ষ ও কর্মট এ ছেলেটি অল্প দিনেই ছাত্রদলকে একটি একক ও জবাবদিহী মূলক সংগঠনে প্রতিষ্টত করতে সক্ষম হয় তার সহপাঠীদের নিয়ে। এতে করে বার বার আওয়ামীগের রুসানলে পড়তে হয়েছে তাকে ও তার অনুসারীদের। যা আমাদের চোখের দেখা। তখন মুন্সীবাজার মুজিববাদী ছাত্রলীগ ও জাসদ ছাত্রলীগের একক আধিপত্য ছিলো।

ছেলেটি আমার এলাকায় থাকায় তার সাথে আমার বেশ সক্ষতা ছিল। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাকে পচন্দ করতাম। অনেক সময় অনেক সহযোগিতাও করেছি। ছেলেটি অত্যন্ত নর্ম ভদ্র ও বিনয়ী। ছাত্রদলকে সংগঠিত করতে তার অনেক শ্রম ঘাম রয়েছে। দলের জন্য দিন রাত কাজ করতো। যার ফলে অনেক ভাল ছাত্র থাকার পরও লেখাপড়ায় বার বার হুছট খেয়েছে যার ফলে লেখাপড়ায় বেশিদূর এগুতে পারেনী। অথচ সে মেদেনী মহল এলাকার জামুরা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী হাজারী বাড়ির একটি শিক্ষিত মেধাবী সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান। তারা বাবা মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ও জাতীয়তাবাদী দলের নিম্ন এলাকার অন্যতম প্রতিষ্টাতা ছিলেন। সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম, সাইফুর রহমান ও রাজনগর উপজেলা বিএনপি অন্যতম প্রতিষ্টাতা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম আতাউর রহমান চৌধুরীর হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি।

এ পরিষদের সাথে যুক্ত মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার হেলাল আহমেদের বাবা মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকবারের জনপ্রিয় মেম্বার ও সামান্য ভোটে পরাজিত চেয়ারম্যান ছিলেন, আমার খুব প্রিয় ব্যক্তিত্ব মুন্সীবাজার ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্টাতা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত ( বাজিদ মেম্বার) এর অনেক অবদান রয়েছে এ দলে। সাবেক অর্থও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান ও আতাউর রহমান চৌধুরী এর হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন আব্দুল বাছিত (বাজিদ মেম্বার) তারই ছেলে হেলাল মেম্বার স্কুল জীবন থেকে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের মধ্যে আজ যুবদলের রাজনীতিতে রাজপথে আছে। আওয়ামী ক্ষমতাশীন থাকাকালীন থেকে আজ অবদী রাজপথে ছিল আছে আমার বিশ্বাস আগামীতেও থাকবে। হেলাল রাজনৈতিক পরিমন্ডল থেকে বিএনপি ঘরনার ছেলে।

এছাড়া মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিএনপির ঘুড়াপথন করেন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান হাত ধরে আমাদের নিম্ন এলাকারই মানুষজন। বাঙালীয়া গ্রামের আব্দুল বাছিত বাজিদ মেম্বার বিশিষ্ট মুরব্বী সুলতান মিয়া, ফরিদপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বি মরহুম আব্দুল মন্নান বালীগাঁও গ্রামের বড় বাড়ীর লেবু মিয়া, সাবেক মেম্বার আছকান মিয়া, মেদেনী মহলের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মরহুম ওকিল মিয়া তরপদার সাবেক মেম্বার মরহুম মাসুক মিয়া, সাবেক মেম্বার মরহুম আব্দুল মছব্বির সাবেক মুন্সীবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মরহুম মোতাহির মিয়া, জাহির মিয়া জাইরন, সাবেক মেম্বার জয়নুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার মাহতাব উদ্দিন, সোনাটিকী গ্রামে মরহুম রসু খান সাবেক মেম্বার মরহুম সোনাওর মিয়া সাবেক মেম্বার মরহুম তাজ মিয়াসহ আমাদের এলাকার একঝাক মুরব্বি এম, সাইফুর রহমান হাত ধর বিএনপির রাজনীতিকে প্রতিষ্টা করেন।

এছাড়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ব্লকের সাবেক জনপ্রিয় মেম্বার মরহুম আলফি মিয়া আওয়ামীগের রাজনীতি ছেড়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হন তারই সাথে সাবেক মেম্বার আব্দুল কাদির (কদর মিয়া) সহ আরো অনেকেই বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হলে বিএনপি মুন্সীবাজার ইউনিয়নে একক সংগঠন হিসাবে প্রতিষ্টা লাভ করে। তবে মুন্সীবাজার ইউনিয়নে নিম্ন এলাকাই বিএনপির ঘাটি হিসাবে পরিচিত। নিম্ন এলাকার চারটি সেন্টার যেমন সোনাটিকী- নিদনপুর – জামুরা ও গাজীর বাজার এক সেটিয়া ভোট আজও পেয়ে থাকে বিএনপি। এছাড়া বাগান এলাকার ইটা চা বাগান ও গয়াসপুর সেন্টার ছাড়া আর কোন সেন্টার বিএনপি প্রতিদন্দিতা করলেও সেন্টার পাশ করতে পারেনি কখনও। বিএনপির উপজেলা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক আব্বাস আলী মাষ্টার আমার সরাসরি শিক্ষক তিনি জাগদল থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। তবে তিনি খলাগাঁও করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন ছাত্র জীবন শেষ থেকে যার ফলে রাজনীতি করলেও রাজনীতির মাটে সক্রিয় থাকলেও প্রকাশ্য পদ পদবীতে যেমন একটা ছিলেন না। ইদানিং চাকরী থেকে অবসর নিয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন।

যুবদল ও ছাত্রদলের বিগত দিনের ত্যাগী নেতাদের দ্বারা প্রতিষ্টিত সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী জাগদলের মৌলভীবাজারের অন্যতম প্রতিষ্টাতা মাটি ও মানুষের নেতা, সিলেট বিভাগের উন্নয়নের রুপকার এম, সাইফুর রহমানের নামানুসারে পরিষদ ” এম, সাইফুর রহমান পরিষদ” নামে একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ গঠে এক ব্যতিক্রমী ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে গেল ২৪ মার্চ সোমবার মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে। উক্ত ইফতার মাহফিলে বিএনপির তৃনমুল পর্যায়ের ত্যাগী নির্তাতিত নেতা কর্মীদের দাওয়াত করা হয়েছিল। সকলের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে উটে মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গন। দীর্গদিন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন একটি বিশাল ব্যতিক্রমী ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে যা চোখে পড়ার মতো মানুষ সমাগম গটে।

দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ উক্ত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। তবে পরিষদের নেত্রিবৃন্দের সুশৃঙ্খল আয়োজনে এতো লোকের সমাগমে কোন প্রকার ব্যতিক্রম গঠেনি। আমি ভাবছিলাম এতো মানুষের উপস্থিতি সামাল কি তারা দিতে পারবে। কিন্তুু খুব সুসারুরুপে তারা সামাল দেয় উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলটি। এম, সাইফুর রহমান পরিষদের নব নির্বাচিত আহবায়ক ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আব্দুল হক তালুকদারের পরিচালনায় উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ কামরান আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন এম.সাইফুর রহমান পরিষদের মুখপাত্র-মুন্সিবাজার ছাত্রদলের সাবেক কয়েক বারের সভাপতি উপজেলা যুবদল নেতা জুবায়ের আহমদ জুবের।বক্তব্য রাখেন রাজনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় মেম্বার হেলাল আহমদ রাজনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ত্যাগী ও বার বার কারা নির্যাতিত যুবদল নেতা নুরুল আমিন খান, জেলা যুবদল নেতা খন্দকার গৌছুজ্জামান শিপন, মুন্সীবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের কয়েক বারের সাবেক সভাপতি-বিএনপি নেতা সাব্বির আহমদ সাইফুল, কারা নির্যাতিত যুবনেতা রেজাউল করিম প্রমুখ।

উক্ত ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা বেলাল আহমদ ( মেম্বার) জমির উদ্দিন (মেম্বার)বিএনপি নেতা শেখ জবের আলী,হাজী খছরু মিয়া,আকদ্দছ মিয়া,ফেরদৌস আহমেদ, এজাজ উদ্দিন তরফদার বানাই, আব্দুস সবুর,মুন্সীবাজার ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মুহিবুর রহমান মুহিব, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুজিব মিয়া,ছাত্রনেতা আলমগীর হোসেন, রাজিব আহসান প্রমুখ।

দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বি.এন.পি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী ও শুভাকাঙ্খি উপস্হিত থেকে দোয়া মাহফিলকে সাফল্যমন্ডিত করে তোলেন। উক্ত মাহফিলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনা, শহীদ রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান,সাবেক অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানে রুহের মাগফিরাত কামনার মাধ্যমে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।সভায় বক্তারা সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবক বিএনপির সভাপতি জাতীয় পরিষদের সদস্য এম নাসের রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে এক যোগে কাজ করার আহবান ব্যক্ত করেন।