মৃত্যু অপ্রতিরোধ্য— স্বতসিদ্ধ। তারপরও সময়ে সময়ে আপনজনের মৃত্যু আমাদের দৃষ্টিকে অপলক নিশ্চল করে রাখে। হৃদয়কে গভীর বেদনায় স্পর্শ করে।
সম্প্রতি যে মানুষটার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া তিনি আমাদেরই আত্মজন, এলাকার কৃতী সন্তান কবি, কথক ও সমাজচিন্তক শাহ মুইজুর রহমান শামীম অকালে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বিরলপ্রজ এই মানুষটার স্মরণে খলাগাঁও করিমপুর হাই স্কুল মাটে গতকাল এক শোক সভা অনুষ্টিত হয়। শামীম বন্ধু বিশিষ্ট ব্যবসাহী জাকির শামীম মায়া প্রাঙ্গনের আহবায়ক আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে সাংবাদিক জুবায়ের জাবেদের সঞ্চালনায় শোক সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কবি লেখক আব্দুল খালিক ও সাংবাদিক কথা সাহিত্যিক কবি লেখক গবেষক আকমল হোসেন নিপু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি লেখক কথা সাহিত্যিক অংকন প্রকাশনীর প্রকাশ অত্র এলাকার কৃতি সন্তান মহিদুর রহমান।
অন্যনোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৃটেন কমিউনিটি লিডার মারুফ হোসেন ও খায়রুল ইসলাম, হাওড় কাউয়া দিকী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক খছরু চৌধুরী, মনুকূলের কাগজ পত্রিকার মম্পাদক ও প্রকাশক মোস্তাক চৌধুরী, সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মনোজ রায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হেলালুর রহমান লাল, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কামাল হোসেন সমাজ সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডাঃ স্নেহাশিস ঘোষ, কবি ইন্দ্রজিত দেবসহ অনেক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, তাঁর স্মরণে প্রকাশিত স্মৃতিগ্রন্থ ‘বন্ধুবর্তিকা’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে সুহৃদ, স্বজন ও সজ্জনদের উপস্থিতি শোক সভা অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। ‘জাকির-মায়া-শামীম প্রাঙ্গণের উদ্যোগে স্নরণ সভায় বক্তারা বলেন রাজনগর উপজেলা মুন্সীবাজার একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। এ এলাকায় অনেক গুনিজনের জন্ম হয়েছে। শাহ মঈজুর রহমান শামীম তেমনী একজন গুনিজন ছিলেন তাঁর কাছ থেকে এ দেশ এ সমাজ অনেক উপকৃত হয়েছে। অত্র এলাকার শিক্ষা সংস্কৃতি সামাজিক অঙ্গনে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। সেঁ অকালে চলে গেল না হলে তাঁর কাছ থেকে এ সমাজ অনেক কিছু পেতো । মঈজুর রহমান শামীম একজন উঁচু মাগের লেখক গবেষক কবি ছিলেন। এ এলাকার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তার পরকাল ভাল কাটুক।