যশোরের জেলার কেশবপুর উপজেলার ৪নং বিদ্যানন্দকাঠী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের এক আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে এক চাচী সম্পর্কে গৃহবধুসহ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে।
কেশবপুর উপজেলা ফতেপুর গ্রামের মাষ্টার শহিদুল ইসলামের ছেলে, মোঃ পলাশ শেখ(৩০) একই গ্রামের প্রতিবেশী মোঃকাশেম শেখ এর ছেলে মোঃ আমিনুর রহমান লাল্টু(৩৫) এর স্ত্রী মিনা খাতুন(৩০)কে সহ নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, একটি স্বর্নের চেইন,৬টি স্বর্নের আংটি,ও দুই জোড়া স্বর্নের কানের দুল নিয়ে মিনা খাতুনকে বিভিন্ন ভয়ভিতি প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সময়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই বিষয়ে মিনা খাতুনের স্বামী ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান (লাল্টু)বলেন,অভিযুক্ত পলাশ শেখ, আমার প্রতিবেশী ভাইপো সম্পর্কে হয়, মিনা খাতুন সম্পর্কে তার চাচী হতো।পলাশ শেখ বিভিন্ন সময়ে আমার বাড়িতে যাতায়াত করতো।সে আমার বাড়ি যাতায়াতের সুবাদে আমার স্রী মিনা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।এক সময় পলাশ শেখ আমার স্ত্রী মিনা খাতুনকে বিভিন্ন প্রলোভন ও ফুসলিয়ে,আমার ঘরে জমি বন্ধক রাখার ২৫০০০০(আড়াই লক্ষ)টাকা এছাড়া, ১টি স্বর্ণের চেইন, ৬টি স্বর্ণের আংটি,২জোড়া কানের দুল,নিয়ে পলাশ শেখ আমার স্ত্রী মিনা খাতুনকে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে চলে গেছে। আমার দুটি ছোট ছোট সন্তান রয়েছে তারা মা ছাড়া এখনও থাকার মত বড় হয় নাই। তারা তাদের মায়ের জন্য খুব কান্নাকাটি করছে।আমার স্ত্রী মিনা খাতুন তার দুটি সন্তানকে রেখে চলে যাওয়ায় আমি মানসিক ভাবে সামাজিক ভাবে লজ্জায় আছি।আমি বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখুঁজি করে তাদেরকে পাইনি। তারপর পলাশের পিতা মাষ্টার শহিদুল ইসলামকে জানালে তিনি এই বিষয়ে কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না।পরবর্তীতে আমি কোন উপায় না পেয়ে কেশবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ স্যারের কাছে যায়।স্যার আমাকে একটি নিখোঁজ জিডি করার পরামর্শ দেন।আমি সেই মোতাবেক থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি।
এই বিষয়ে স্বাক্ষী সেলিম ৃশেখকে জিজ্ঞাসা করলে জানায়,শহিদুল মাষ্টারের ছেলে, পলাশ শেখ একটা বখাটে ছেলে,ছোট বেলা থেকে সে বিভিন্ন কুকর্মের সাথে জড়িত থাকতো,তার পিতা তাকে বিভিন্ন ভাবে পড়ালেখা করানোর চেষ্টা করে কিন্তু সে করেনি।সে বিভিন্ন সময় বাড়ির বিভিন্ন মালামাল চুরি করে বিক্রি করতো।যার কারণে তার পিতা অতিষ্ট হয়ে তাকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দেয়।সে মালয়েশিয়া থেকে কিছু দিন বাড়ি এসে ছিলো।এলাকায় খুব ভালো ভাবে ঘুরছিলো হঠাৎ এমন একটা কাজ করে ফেলবে কেউ ভাবতে পারিনি।আমাদের পরিচিত লাল্টু শেখ খুব ভালো ছেলে,তার স্ত্রী ও তার টাকা, স্বর্ণেলংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়া পলাশ শেখের ঠিক হয়নি।আমরা তার সঠিক বিচার চাই।
আর একজন স্বাক্ষী সোহাগী খাতুন(২৫)বলেন,লাল্টু আমার সম্পর্কে দেবর হয়,লাল্টুর সাথে মিনা খাতুনের প্রেম করে বিয়ে হয়।তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।সন্তানরা মা ছাড়া থাকতে পারছে না। তিনি আরও বলেন,লাল্টু শেখে শেষ সম্বল ওই ২৫০০০০(আড়াই লক্ষ) টাকা ও কিছু গহনা,যা নিয়ে মিনা খাতুন পলাশের সাথে পালিয়ে গেছে।আমার দেবর লাল্টু শেখ ভাটাই দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে।এই জমানো টাকা ও তার স্ত্রী জন্য গহনা তৈরি করা গহনা নিয়ে চলে যাওয়া তাদের ঠিক হয়নি।এখন আমার দেবর লাল্টু খবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।এই পলাশ শেখ খুবই খারাপ একটা ছেলে আমরা তার কঠিন থেকে কঠিন তম শাস্তি চাই।
ভুক্তভোগী লাল্টু শেখ আরও বলেন যদি কেউ,মিনা খাতুন ও পলাশ শেখের সন্ধান দিতে পারে তাকে নগদ কিছু টাকা পুরুষ্কার দেওয়া হবে।কেউ সন্ধান জানলে বা দেখলে নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল।
অনুরোধক্রমে :আমিনুর রহমান(লাল্টু)।
মোবাঃ01770-535859