শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়ার মিনি কক্সবাজার খ্যাত পদ্মা-গড়াই মোহনা “বৃটেনের কার্ডিফে দারুল ক্বিরাত তথা ইনটেনসিভ তাজবীদ কোর্স ২০২৫ এর শুভ  উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে কুষ্টিয়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জুলাই শহীদ স্মরণে ঠাকুরগাঁওয়ে স্কাউটস এর পুরস্কার বিতরণী রাজনগরে সন্ত্রাসী কতৃক প্রবাসী কয়ছর হত্যাকান্ডের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছে তার পরিবার হাফিজা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাময়িক দায়িত্বচ্যুত হলেও তটস্থ ভুক্তভোগীরা জিকে খালে অজ্ঞাত ব্যক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার  কেশবপুরের পনিবন্ধি ২”হাজার পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন কুষ্টিয়ায় আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা মৌলভীবাজার মোখলেছুর রহমান ডিগ্রী কলেজের বাসের যন্ত্রপাতি চুরি হওয়া আসামিদের জামিন না মঞ্জুর 
নোটিশঃ
আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। নিউজ শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।

কুষ্টিয়ায় হৃদয়হীন শহর,নাকি অসহায় ব্যবস্থা? বৃষ্টিতে ভিজে প্রতিবন্ধীর বেঁচে থাকার সংগ্রাম।

রিপোর্টারের নামঃ
August 4, 2025, 12:42 pm

শহরজুড়ে ঝরছে অঝোর ধারার বৃষ্টি,কর্মব্যস্ত মানুষ যখন নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে,ঠিক তখনই কুষ্টিয়া জেলা জজ কোর্ট চত্বরের আইনজীবী ভবনের সামনের ভেজা রাস্তায় দেখা গেল এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য।
দুটি পা অচল এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জীবনের তাগিদে, দু’মুঠো ভাতের আশায় বুকের উপর ভর দিয়ে ছেঁচড়ে চলেছেন।
তার এই বেঁচে থাকার সংগ্রাম কারো চোখে পড়ছে করুণা হয়ে, আবার কারো কাছে তা নিত্যদিনের সাধারণ দৃশ্য।

আজ দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখর ডিসি কোর্ট চত্বর। বৃষ্টিস্নাত পিচঢালা রাস্তায় জরাজীর্ণ পোশাকে এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সাহায্যের জন্য আকুতি জানাচ্ছেন। তার শরীর ভিজে একাকার, কিন্তু পেটের ক্ষুধা আর জীবনের প্রয়োজন তাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।

হাতের ইশারায় এবং করুণ দৃষ্টিতে তিনি পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন, যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

এই দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়ান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী। তিনি বলেন, “প্রতিদিন এমন অনেক অসহায় মানুষকে আমরা দেখি। আইন অসহায় মানুষের জন্য, কিন্তু এই মানুষগুলোর মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। দেখে খুব খারাপ লাগে, কিন্তু কর্মব্যস্ততার ভিড়ে অনেক সময় কিছুই করা হয়ে ওঠে না।

অন্যদিকে,পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া অনেককেই দেখা গেল নির্বিকার ভঙ্গিতে চলে যেতে। তাদের কাছে এই দৃশ্য হয়তো এতটাই পরিচিত যে, তা আর মনে কোনো দাগ কাটে না। এই উদাসীনতা যেন আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের এক নীরব সাক্ষী।

স্থানীয় এক চায়ের দোকানি জানান, “এই ভাইকে প্রায়ই এখানে দেখা যায়। রোদ, বৃষ্টি, ঝড়—সবকিছু উপেক্ষা করে তিনি জীবিকার জন্য রাস্তায় নামেন। তার মতো মানুষের জন্য যদি একটি স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে হয়তো এই কষ্ট করতে হতো না।

এই ঘটনাটি কেবল একজন ব্যক্তির দুর্দশার চিত্র নয়, এটি আমাদের সমাজ ব্যবস্থার প্রতি একটি বড় প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করলেও, সেই সুবিধা কি সত্যিই তৃণমূলের এই অসহায় মানুষগুলোর কাছে পৌঁছাচ্ছে? তাদের জন্য কি একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবনযাপনের পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি?

বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা যখন ওই প্রতিবন্ধী মানুষটির শরীর ভিজিয়ে দিচ্ছিল, তখন তার অসহায় চাহনি যেন পুরো সমাজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখছিল—এই দায় কার? তার এই বেঁচে থাকার আকুতি কি আমাদের বিবেককে একটুও নাড়া দেবে না? এই প্রশ্ন এখন কুষ্টিয়ার ব্যস্ত সড়কের বাতাসে ভাসছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এরকম আরো নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর